জটিল ৫ রোগের মহৌষধ মধু!

8
জটিল ৫ রোগের মহৌষধ মধু!

মধুকে প্রকৃতির মিষ্টি অমৃত বলে অভিহিত করা হয়। এতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান রয়েছে। প্রকৃতির বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর হওয়ায় এটি দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহ্যগত চিকিৎসা অনুশীলনের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
মধুতে রয়েছে গ্লুকোজ যা শরীরে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। তাই শীতের এ সময়ে নিয়মিত মধু খেতে পারেন। নিয়মিত মধু খেলে জটিল ৫টি রোগ থেকে দূরে থাকা যায়, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আসুন একে একে সেই রোগগুলো সম্পর্কে জেনে নিই, যেসব রোগ সারাতে মহৌষধের মতো কাজ করে মধু।

১। হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা: এটি ক্লান্তি প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে। শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে, রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে এর জুড়ি নেই।

Pop Ads

২। কোষ্ঠকাঠিন্য: মধু ডায়রিয়া দূর করে। দেহে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। অনিদ্রা, হাঁপানি, ফুসফুসের সমস্যা, অরুচি, বমিভাব, বুক জ্বালা রোধ করে। সারা জীবন ধরে বয়ে চলা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে কাজ করে মধু।

৩। হৃদ্‌রোগ: মধু যদি সঠিক পরিমাণে গ্রহণে হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্য বাড়াতে সাহায্য করবে। প্রাকৃতিক মধুর ব্যবহার রক্তে পলিফোনিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বাড়াতে সাহায্য করে যা হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

৪। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: মধুর সঙ্গে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালির সমস্যা দূর করে এবং রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ ১০ ভাগ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। মধু ও দারুচিনির এই মিশ্রণ নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।

৫। ওজন নিয়ন্ত্রণ: মধু দেহের ফ্যাট কমায়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। হালকা গরম পানিতে থাকা মধু শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণই করে না, উজ্জ্বল ত্বকে উন্নীত করতেও সাহায্য করে।

এ ছাড়াও নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্যের কারণে সাধারণ ঠান্ডা, ফ্লু, কাশি এবং গলাব্যথায় দারুণ কাজ করে মধু। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কার্যকরী।

যারা বদহজম, অ্যাসিডিটি সমস্যায় প্রায়ই ভোগেন তারা নিয়মিত মধু খেতে পারেন। মধু পেটের অম্লভাব কমিয়ে হজম প্রক্রিয়ায়ও সহায়তা করে। তাই শীতের এ সময়ে মধু খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।