কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ধানক্ষেত থেকে মো. ওমর সাদেক (৮) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ নাফনদীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বরফ কলের পাশের ধানক্ষেত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রেজাউল করিম রেজু।
নিহত শিক্ষার্থী মো. ওমর সাদেক উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সাব্বির আহমদের ছেলে এবং টেকনাফ উপজেলা সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরের দিকে প্রতিদিনের মতো চার-পাঁচটি ছাগল বেড়িবাঁধ এলাকায় চড়াতে নিয়ে যান ওমর সাদেক। বিকেলের দিকে ওমর সাদেকের বড় ভাই মো. ফারুক জালিয়াপাড়া যাওয়ার সময় ছাগলসহ সাদেককে বেড়িবাঁধ এলাকায় বসে থাকতে দেখেন। ফারুক জাল থেকে মাছ নিয়ে ঘরে ফেরার সময় বেড়িবাঁধের ওপরে ছাগলগুলো দেখতে পেয়ে সেগুলো নিয়ে বাড়িতে চলে যান। তবে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও ওমর সাদেক বাড়ি না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করা হয়। এরপর নিকট আত্মীয়-স্বজনরা মিলে ছাগল চড়ানো ওই এলাকায় খোঁজাখুঁজি করলে বরফ কলের পাশের ধানক্ষেতে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে স্থানীয় লোকজন মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: পদ্মা নদীতে নিখোঁজের ৩ দিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার
নিহতের বড় ভাই মো. ফারুক বলেন, ‘আমার ভাইয়ের গলায় একটি রশি পেছানো ছিল। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের পাশাপাশি মুখ রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। কি কারণে আমার ছোট ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে এর কোনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। তবে খুনি যেই হোক না কেন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে অধিকতর তদন্তের করে খুনিকে শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
