দৃষ্টিকটু

দৃষ্টিকটু -শহিদুল আলম

শহিদুল আলম

এক যুগেরও বেশী সময় পার করেছি বগুড়ার একটি স্বনামধন্য পত্রিকায়। তবে সাংবাদিক পদে নয়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। সূর্য় ডোবার সেই রঙ্গিন আলো কখনও চোখে পড়েনি। রাত না দিন বোঝা যায় নি। দিন রাত কৃত্রিম আলো বাতাসে থাকতে হয়েছে।

Pop Ads

যাই হোক চাকরি তো একটা কপালে জুটেছে। মেনে নিয়েছি পেটের তাড়নায়। নামমাত্র বেতনের টাকায় সংসার চলুক না চলুক লোকে জানে ভাল বেতনে পত্রিকায় চাকরি করি । কাজের শেষ নেই। তারপরও মালিকের মন পাওয়া কঠিন। আমার মত নিম্নপদস্থ কর্মচারীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মালিকের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই।

দামী গাড়ীতে চড়ে ঘুরছে, অট্টালিকায় থাকছে অথচ তার কর্মচারীরা কিভাবে চলছে তা জানে না জানতে চায়না। সংবাদপত্র যে মন্ত্রণালয়ের অধীন তারাও সংবাদপত্রের কর্মচারীদের মূল্যায়ন করে না। তারা শুধু মূল্যায়ন করে সাংবাদিকদের। কিন্তু একটি পত্রিকা শুধু সাংবাদিক দিয়ে চলে না । সবার সহযোগিতা ও সমন্বয়ে প্রতিদিন পত্রিকা প্রকাশ হয়।

তাই সবাইকে সমান চোখে দেখতে হবে। যখন সরকার থেকে অনুদান বা প্রণোদনা দেয়া হয় তখন শুধু পত্রিকার সাংবাদিরাই পায়। কারণ তারা লিখতে জানে। কলমের খোঁচা তরবারির চেয়েও ধারালো ও ভয়ংকর। তাই তাদেরকে তুষ্ট করা হয়।

পত্রিকার অসাংবাদিকদের ভয় নেই কারণ তাদের কাছে কলম নেই বলে লিখতে পারেনা। তাদেরকে ভেট দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এ কারণে সাংবাদিকরা হয়ে যায় কেনা গোলাম। সত্য ও নিরপেক্ষ লেখনী তাদের আসেনা।

যদি সত্যিকার অর্থে সংবাদপত্রের কল্যাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হতো তাহলে সংবাদপত্রের সবাই কমবেশী কিছু না কিছু পেত। সেখানে পক্ষপাতিত্ব বা দৃষ্টিকটু বলে কিছু থাকতো না।