‘দৈনিক বগুড়ার’ ফটো সাংবাদিক মিটুর  নির্যাতনে অতীষ্ঠ এক নারীর সংবাদ সম্মেলন

'দৈনিক বগুড়ার’ ফটো সাংবাদিক মিটুর  নির্যাতনে অতীষ্ঠ এক নারীর সংবাদ সম্মেলন। -সুপ্রভাত বগুড়া

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া থেকে প্রকাশিত পত্রিকা “দৈনিক বগুড়ার” ফটো সাংবাদিক গোলজার হোসেন মিটুর নির্যাতনে অতীষ্ঠ এক নারী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার বেলা ১২.৩০ টায় বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন   শহরের উত্তর চেলোপাড়া এলাকার মোছা. সামছুন্নাহার বেগম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমার বড় বোন মরিয়মের স্বামী গোলজার হোসেন মিটুর নির্যাতনের স্বীকার হয়ে আমাদের পরিবার আজ সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে।

গত শনিবার আমার বাড়ির সামনে একটি জায়গায় স্লাব বসাতে গেলে মিটু তাতে বাধা দেয় এবং আমাকে বেদম মারপিট করে আহত করে। পরে আমার আত্মীয় সজন আমাকে মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসি । এরপর এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

Pop Ads

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, এই মিটু সম্প্রতি আমাদের পাড়ার এক লোককে মারপিট করে এবং উপরন্তু তাকেই দায়ী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করে হয়রানী করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এলাকাবাসী দৈনিক বগুড়ার সম্পাদক রেজাউল করিম বাদশাকে অবহিত করলে তিনি ভবিষ্যতে মিটু আর কারো সাথে কোন খারাপ আচরন করবে না মর্মে প্রতিশ্রতি দেন।

কিন্তু এতকিছুর পরও মিটু তার আচরন থেকে ফিরে আসেনি, উপরন্তু সে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে, কথায় কথায় এলাকাবাসীর সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। সাংবাদিক পরিচয়ে হুমকি ধামকি দেয়, কুপিয়ে
মারার হুমকি দেয়। তিনি দাদন ব্যবসায়ী হওয়ায় কথায় কথায় বলেন, আমার টাকার অভাব নাই, প্রশাসন আমার হাতে আছে, তোদের মারলে কি হবে। তিনি বলেন, আমার বড় বোন পিতার অংশীদার হওয়ায় সে স্ত্রীর জায়গায়
বসবাস করছেন।

মিটু আগ্রাসী হওয়ায় তার স্ত্রীর সম্পত্তির চেয়ে বেশি জায়গা দখল করে আছে। জোর করে আমার ও আরেক বোনের সীমানার মধ্যে প্রাচীর নির্মাণ করছে। তাকে এ ব্যাপারে নিষেধ করলেও সে না শুনে উপরন্তু আমাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।

সামছুন্নাহার লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন গোলজার হোসেন মিটু দৈনিক বগুড়ার স্টাফ ফটোগ্রাফার ও বগুড়া প্রেসক্লাবের সদস্য হওয়ায় এলাকাবাসীকে সব সময় ভয়-ভীতি প্রর্দশন করে, সে বলে যে আমি ডিসি, এসপি’র ছবি তুলি, তোদেরকে জেলের ভাত খাওয়ানো আমার জন্য ওয়ান- টু’র ব্যাপার। তিনি এসময় সাংবাদিক ও প্রশাসনের উর্দ্ধতন ব্যক্তিদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে বিষয়টির সুরাহার আবেদন জানান।