বাসমতি নয় এমন চাল বিশেষ করে সিদ্ধ চালের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের একদিন পর বাসমতি চাল রপ্তানিতেও বেশ কিছু কড়াকড়ি আরোপ করে অন্যতম প্রধান চাল উৎপাদক দেশ ভারত। ২৭ আগস্ট দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের এমন প্রজ্ঞাপনে বেকায়দার পড়ে যান চাল আমদানিকারক দেশগুলো। চাল রপ্তানিতে এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর দেশটির বিভিন্ন বন্দরে আটকা পড়ে বিপুল পরিমাণ চাল।
এতে রপ্তানিকারকরা যেমন ক্ষতির মুখে পড়েন, ঠিক তেমনি সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে আমদানিকারক দেশগুলো। এ পরিস্থিতিতে স্বস্তির কথা জানিয়েছে নয়াদিল্লি। বিভিন্ন বন্দরে আটকা পড়া নন-বাসমতি চাল ছাড়ের অনুমতি দেয় ভারত। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দেশটির সরকারি এই সিদ্ধান্তটি জানা গেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ বাড়াতে এবং ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে ভারত বিভিন্ন কড়াকড়া আরোপের মাধ্যমে চাল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। পাশাপাশি বিভিন্ন চালের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে। এমন সিদ্ধান্তে অসন্তোষ দেখা দেয় ভারতীয় চালের ওপর নির্ভরশীল বিভিন্ন দেশের আমদানিকারদের মধ্যে।
তারা অতিমাত্রার এ শুল্ক পরিশোধে অপারগতা ও অসম্মতি জানান। ফলে ভারতের বন্দরগুলোয় আটকা পড়ে প্রায় অন্তত ১০ লাখ টন চাল। গত বছর ভাঙা চাল রপ্তানির ওপর ভারতীয় নিষেধাজ্ঞা ও পরে তা তুলে নেয়ার মতোই এবারও বিভিন্ন চালের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় শিথিলতা দেখালো নয়াদিল্লি।
সেই সঙ্গে এমন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই সিঙ্গাপুরে বিশেষ সম্পর্কের কারণে চাল রপ্তানি করেছে ভারত। যা নিয়ে সমালোচনার মুখ পড়তে হয়েছে নয়াদিল্লিকে।