সুপ্রভাত বগুড়া (গাজী শাহ্ জালাল মিয়া,মাদারীপুর শিবচর প্রতিনিধি): মাদারীপুরের শিবচরের বন্দরখোলা ইউনিয়নে আধুনিকতার ছোয়া লেগেছিল ওই চরের মানুষের মাঝে। মাত্র কয়েক বছরেই ওই চরে গড়ে উঠে সব ধরনের সুবিধা এবং চরে বিদ্যুত, শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগের পাকা সড়ক সব কিছুই ছিল। কিন্তু পদ্মার ভয়াবহ ভাঙ্গনে এলাকার মানুষের সকল সুবিধা কেড়ে নিলো পদ্মা।
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের আলোর প্রদীপ সেই বিদ্যালয়টি অবশেষে বিলীনের পথে পদ্মার ভাঙনে। বুধবার ২২ জুলাই মধ্যরাতে বিদ্যালয়টির মাঝ বরাবর দ্বিখন্ডিত হয়ে হেলে পরে।
অপরদিকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চরাঞ্চলে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে ছুটে যাচ্ছে চরাঞ্চলের অসংখ্য মানুষ। এছাড়াও পানিবন্দি হয়ে পরেছে হাজার হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে দূর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে চরাঞ্চলের মানুষেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের নূরুদ্দিন মাদবরেরকান্দি গ্রামে অবস্থিত এস ই এস ডি পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ তলা ভবনটি হেলে পড়েছে পদ্মার বুকে । বিদল্যায়টি ২০০৯ সালে স্থাপিত হয় নূরুদ্দিন মাদবরের কান্দি এস.ই.এস.ডি.পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়. ।
বন্দরখোলা ইউনিয়নের চরাঞ্চলে স্থাপিত এই বিদ্যালয়টির কারণে শিবচর উপজেলার প্রায় ২৪ টি গ্রামের ছেলে-মেয়েরা এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের সকলেই চরের বাসিন্দা। এই বিদ্যালয়টি হওয়ার কারণে এখন চরের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতো, প্রায় ২৪ টি গ্রাম থেকে চারশতাধিক শিক্ষার্থী ছিল বিদ্যালয়টিতে।
গত বছর পদ্মা নদী ভাঙতে ভাঙতে পেছন দিক দিয়ে বিদ্যালয়টির নিকটে চলে আসে। এরপর গত বছরই জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরীর নির্দেশে ওই এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকিয়ে রাখে। চলতি বর্ষা মৌসুমেও ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং চলতে থাকে ওই এলাকায়।
তবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচন্ড স্রোতের কারণে জিও ব্যাগ ফেলে তেমন সুবিধা করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বুধবার রাতে তিন তলা ভবনের বিদ্যালয়টির কিছু অংশ হেলে পরে।বৃহস্পতিবার দুপুরে দিকে বিদ্যালয়টি ধসে পরে যায়। বিদ্যালয়ের চরের প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার অনিশ্চত জীবন শুরু হল।।