পাকিস্তান দলে সবাইকে এক চোখে না দেখার অভিযোগ শেহজাদের

81
পাকিস্তান দলে সবাইকে এক চোখে না দেখার অভিযোগ শেহজাদের

৫ ম্যাচে ২ জয়, ৩ হারে মোট ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৫–এ পাকিস্তান। হাতে আছে আর ৪ ম্যাচ। সেমিফাইনালে উঠতে যা করার এর মধ্যেই করতে হবে। পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান এবং সবশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হার বিবেচনায় বলা যায়, পাকিস্তান দল এই মুহূর্তে মোটেও ভালো নেই।

সমালোচনা ধেয়ে আসছে চারপাশ থেকে। অধিনায়ক হিসেবে বাবর আজমকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা। সমালোচকদের এ দলে এবার যোগ দিলেন দীর্ঘদিন পাকিস্তান জাতীয় দলের বাইরে থাকা ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদও। তাঁর দাবি, পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়দের সবাইকে এক চোখে দেখা হয় না। ড্রেসিংরুমে কিছু খেলোয়াড় অপছন্দের শিকার হচ্ছেন এবং কয়েকজনকে আগলে রাখা হচ্ছে।

Pop Ads

পাকিস্তান দলের হয়ে সবশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ৩১ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। দেশটির সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমন বিস্ফোরক দাবি করেন শেহজাদ। তাঁর ভাষ্য, পাকিস্তান জাতীয় দলে কিছু খেলোয়াড়কে আগলে রাখার পাশাপাশি কিছু খেলোয়াড়কে পরে বাদ দিতে মাঠে কঠিন পরিস্থিতির মুখে ফেলা হয়।

শেহজাদের দাবি, ‘আমি কিছু খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছি। কয়েকজন খেলোয়াড় ড্রেসিংরুমে পছন্দের পাত্র নন। অন্যদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়, তাঁদের সঙ্গে তেমন আচরণ করা হয় না। তারা নির্দিষ্ট কিছু খেলোয়াড়কে দলে রাখার চেষ্টা করে এবং বাকিদের বাদ দেয়।’

শেহজাদ এরপর একজন খেলোয়াড়ের উদাহরণও টানেন। এ বছর মার্চে শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তান দলে ডাক পেয়েছিলেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান তৈয়ব তাহির। তিনটি ম্যাচ খেলানোর পর তাঁকে বাদ দেওয়া হয়।

শেহজাদ তাঁর পাশাপাশি উসামা মির, সৌদ শাকিলের উদাহরণও টেনে বলেছেন, ‘তৈয়ব তাহিরকে দলে নেওয়া হলেও সে পছন্দের পাত্র ছিল না। তাকে বাদ দেওয়া হয়। সৌদ শাকিলকে টেস্ট পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দলে নেওয়া হয়েছে। উসামা মিরের ব্যাপারে আমরা বিশ্বকাপের আগেই বলেছিলাম, দলে নিয়ে তার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সুযোগ দেওয়া হোক। উসামা তো কবজির স্পিনার, বল পুরোনো হলে বেশি কার্যকর। কিন্তু তাকে বল দেওয়া হলো ১১তম ওভারে। তারা আসলে কিছু খেলোয়াড়কে আগলে রেখে এসব খেলোয়াড়কে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলছে।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের ৮ উইকেটে হারের ম্যাচে উসামা মিরকে ১১তম ওভারে বোলিং করানো হয়। সে ম্যাচে ৮ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন উসামা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে শতক তুলে নেওয়া ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ ছেড়েছিলেন উসামা। তা নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছিল। শেহজাদ আরও বলেছেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই বলছি, আবরার আহমেদকে দলে নেওয়া হোক। দলে রহস্য-স্পিনার প্রয়োজন। তারা আমাদের সতীর্থ ও বন্ধু, কিন্তু দলে তারা পছন্দের পাত্র নয়।’