সুপ্রভাত বগুড়া (এ কে দিপংকর, বগুড়া সদর প্রতিনিধি): বগুড়ার ৪ উপজেলায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে কাহালু, সারিয়াকান্দি, শাজাহানপুর ও ধুনট উপজেলায় তারা ৪জন নিহত হয়েছে। এসব ঘটনায় আরো ৩ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। জানা গেছে, কাহালুতে ধান তুলতে গিয়ে কৃষক ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় নদী পার হতে গিয়ে যুবক বজ্রপাতে নিহত হয়েছে।
পৃথক এ ঘটনায় দুই উপজেলার থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ আল আমিন জানান, সারিয়াকান্দিতে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে যমুনা নদীর কুরিপারা চরে বজ্রপাতে লেবু মিয়া (৩২) নামে একজন নিহত হয়।
সে পৌর এলাকার হিন্দুকান্দি গ্রামের বুলু প্রামানিকের পুত্র। নিহতের আত্বীয় স্বজনরা জানান, নিহত লেবুমিয়া দুপুরে কুরিপারা চর হতে বাড়িতে আসার জন্য যমুনার তীরে নৌকার জন্য অপেমান থাকা অবস্থায় বজ্রপাতের ফলে তার মৃত্যু হয়। বগুড়ার কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের এরুইল বাজারে বজ্রপাতে মোকলেছার রহমান (৫৫) নামক এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘটনায় ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ৩ টায় কাহালুর এরুইল মধ্যাপাড়ার মৃত: কছিমুদ্দিনের পুত্র নিহত মোকলেছার বাড়ির পাশের এরুইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পশ্চিম পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর ধান বস্তা করছিল।
এসময় হঠাৎ করে বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতও শুরু হলে ঘটনাস্থলেই মোকলেছার মারা যায় এবং এরুইল মধ্যাপাড়া মোহসিনের পুত্র (৩৫), একই গ্রামের হাসান আলী (৪০) ও এরুইল বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ মামুন (৩২) আহত হয়।
তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যায়। বগুড়ার কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিয়া লতিফুল ইসলাম বজ্রপাতে মোকলেছার রহমানের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন। ধুনটের গোপালনগর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আব্দুস সালাম বিকেলে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে একই সময়ে শাজাহানপুর উপজেলার খড়না ইউনিয়নের হরিনগাড়ী গ্রামে কৃষি শ্রমিক বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।