বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

8
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অসামান্য একটি গান রচনা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কিংবদন্তিতুল্য গীতিকার গৌরিপ্রসন্ন মজুমদার। ‘শোনো একটি মুজিবুরের থেকে লক্ষ মুজিবুরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি, প্রতিধ্বনি, আকাশে বাতাসে ওঠে রণি, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ’। অংশুমান রায় গানটি গাইলেন, জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে উঠে গেল গান। তা-ই হওয়ার কথা।

বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ নিয়ে গান। বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের কারাগার থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি নিজের স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশে পা রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এই মহানায়কের ফিরে আসা মানে সোনার আলোয় ভরে যাওয়া বাংলাদেশ।

Pop Ads

স্বাধীনতা পূর্ণতা পেল তাঁর ফিরে আসার মধ্য দিয়ে। এই দিনটি স্মরণে রেখে যাত্রা শুরু করেছিল আমাদের কালের কণ্ঠ। ১০ জানুয়ারি ২০১০। এবার ১৫ বছরে পা রাখল পত্রিকাটি।

এই শুভক্ষণে আমরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শ বুকে ধারণ করে পথ চলতে শুরু করেছিল কালের কণ্ঠ। সেই পথ থেকে আমরা কখনো বিচ্যুত হইনি। আমাদের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ। আমাদের চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেম।

এই চেতনা নিয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ সম্পূর্ণরূপে গড়ে তোলার কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখতে চাই আমরা। যে সোনার বাংলার স্বপ্ন আজীবন দেখে গেছেন জাতির পিতা, তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন অনেকখানি পূরণ করে ফেলেছেন। বাংলাদেশের যেকোনো দিকে তাকালেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন আমাদের চোখে পড়ে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। পাশাপাশি কর্ণফুলী টানেল, মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, শত শত ব্রিজ-কালভার্ট, ফ্লাইওভার ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ছাড়াও দেশের আনাচ-কানাচে শত শত উন্নতমানের রাস্তা বাংলাদেশকে অতি উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গিয়ে দাঁড়িয়েছেন বিশ্বনেতৃত্বের জায়গায়। তিনি এখন বিশ্বনেতা। আর তাঁর স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশের। আমরা নিশ্চিত সেই বাংলাদেশও অবশ্যই তৈরি হবে। তাঁর প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতায়, অসামান্য দূরদর্শিতায় বাংলাদেশ বিশ্বের অগ্রগণ্য দেশ হিসেবে পরিচিত হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যার সর্বাঙ্গীণ সাফল্যই আমাদের কামনা। বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগের তিনি সভাপতি। তাঁর নেতৃত্বে এবারকার নির্বাচন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। সেই সঙ্গে ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছেন তিনি নিজেও। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাই একমাত্র নেতা, যিনি পর পর চারবার একটি রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী। আমরা তাঁকে সশ্রদ্ধ অভিবাদন জানাই। তাঁর মেধা, মনন ও বিচক্ষণতায় বাংলাদেশ তুঙ্গ স্পর্শ করবে।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে যে যাত্রা আমরা ১৫ বছর আগে শুরু করেছিলাম, সেই একই মন্ত্রে উজ্জীবিত থেকে আগামীর দিনগুলোও আমরা অতিবাহিত করতে চাই। শুরু থেকেই সমাজের বিভিন্ন স্তরের পাঠক আমাদের সঙ্গে আছেন। প্রগতিশীল লেখক, বুদ্ধিজীবীরা আছেন। শ্রদ্ধেয় বিজ্ঞাপনদাতারা আছেন। আছেন হকার নেতা ও সমিতিগুলোর সদস্যরা। আছেন সাধারণ হকার বন্ধুরা। কালের কণ্ঠ’র ১৫তম বর্ষে পা রেখে আমরা আমাদের এই সহযোগীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাঁদের সর্বাঙ্গীণ সহযোগিতায় কালের কণ্ঠ আজ দেশের অগ্রগণ্য পত্রিকা হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ভবিষ্যতেও নিশ্চয়ই শুভানুধ্যায়ীরা কালের কণ্ঠ’র সঙ্গে থাকবেন, এই প্রত্যাশা।

পরম করুণাময় আমাদের প্রত্যেকের মঙ্গল করুন।