সুপ্রভাত বগুড়া (বিনোদন): কন্ঠশিল্পী আশিক, চ্যানেল আই সেরা কন্ঠ প্রতিযোগীতার মাধ্যমে মিডিয়াতে আসা ২০০৮ সাল থেকে। আর এখন সে কারো কাছে পাগলা আশিক কারো কাছে মানবিকতার উদাহরণ আশিক ভাই। বাংলার মানুষ তাকে ভালবেসে ফোক যুবরাজ বলেই ডাকে, আর ডাকবেইনা কেনো? ইউটিউবে ঢুকলেই দেখা যায় তার প্রতিটা গান মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ।
মুলতো বর্তমান সময়ে শাহ আব্দুল করিমকে নিয়ে তিনি কাজ করছেন, এবং শাহ আব্দুল করিমের গান মানেই আশিক। তার গাওয়া “বন্ধুরে কই পাব সখি” মাটিরও পিঞ্জিরায় সোনার ময়না” তুমি রাখ কিবা মার” কলিজাতে দাগ লেগেছে” আইজ আমারে আনিয়া দেওরে আসমানেরও চান” হেলায় হেলায় কার্য নষ্ট” দে দে পাল তুলে দে” দিল্লিতে নিজামুদ্দিন আওলিয়া গানগুলো চরম জনপ্রিয়।
এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ বার বিদেশের মাটিতে কনসার্ট করে দেশের সুনাম বয়ে এনেছেন। এর মধ্যে শুধু ইংল্যান্ডে গিয়েছেন ৮ বার, কানাডায় ৪ বার আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, ইতালি, বেলজিয়াম সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, দুবাই, কাতার, বাহরাইন, সৌদি আরব’সহ বিশ্বের বড় সব গুলো দেশেই গিয়েছেন।
এতো গেল শিল্পী আশিকের কথা, এবার আসি মানবিক আশিকের কথায়, করোনা মহামারী শুরু হবার পর থেকেই তার নিজ বাড়ি হবিগঞ্জে অবস্থান করছেন আশিক। লকডাউনের শুরু থেকেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন হবিগঞ্জের স্থানীয় শিল্পী মিউজিশিয়ান্সদের পাশে।
কখনো নিজের জমানো টাকা খরচ করছেন, কখনোবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে চেয়ে শিল্পীদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন। তিনি ঘোষনা দিয়েছেন, আমি আশিক জীবিত থাকতে হবিগঞ্জের কোন শিল্পী মিউজিশিয়ান্সদের না খেয়ে মরতে দিবো না, এ পর্যন্ত অসংখ্যবার আশিকের হস্তক্ষেপে শিল্পীদের হাতে খাবার সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে আশিক বলেন এগুলো কিছুই না, ইনশাআল্লাহ যতদিন লকডাউন থাকবে ততদিনই আমি শিল্পীদের পাশে থাকবো কথা দিচ্ছি। তবে এই ব্যাপারে আমাকে সব সময় সহযোগীতা করছেন সদর আসনের সাংসদ জনাব এড.আলহাজ্ব মো: আবু জাহির এম পি। তিনি সব সময় আমার সাথে যোগাযোগ করে তিনি শিল্পীদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
প্রতিবাদী আশিক, বাউল গান যারা বিকৃত করে তাদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার আশিক এ ব্যাপারে বিভিন্ন টেলিভিশন ও নিজের ভেরিফাইড ফেইজ বুক পেইজে সব সময় বিকৃতিকারীদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি দিয়ে আসছেন।
কিছুদিন আগের আলোচিত বিষয় বাউল রনেশ ঠাকুরের গানের ঘর পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তুলেন নিজের ফেইসবুক পেইজে পোস্টের মাধ্যমে। এই পোস্টটি শুধুমাত্র শেয়ারই হয় প্রায় ১৭০০ বার।
তার পর বাউল রনেশ ঠাকুরে সেই গানের ঘর নির্মানের জন্য এক লন্ডন প্রবাসী জনাব নজরুল ইসলামের কাছ থেকে ১০০০০০ টাকা নিয়ে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দুর বাউল রনেশ ঠাকুরে বাড়িতে গিয়ে পৌছে দিয়ে আসেন।
এবং ঘোষনা দেন যারা মানবতার গান গাওয়া বাউলদের উপর অন্যায় ভাবে নির্যাতন করবে তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে, এবং বাউলের গানের ঘর পোড়ানোর সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানান।
বর্তমান সময়ে একজন কন্ঠশিল্পী আশিক সময়ের উজ্জল দৃষ্টান্ত হতে পারে। আমরা তার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি। বেচে থাকুক মানবতার গান গাওয়া কন্ঠশিল্পী আশিক। এরকম মানবিক আশিক যেন বাংলার ঘরে ঘরে জন্ম নেয়।