বিতরের নামাজ কি ওয়াজিব?

6
বিতরের নামাজ কি ওয়াজিব?

বিতর অর্থ বিজোড়। বিতর নামাজ যেহেতু তিন রাকাত বিজোড় সংখ্যার নামাজ, তাই তাকে বিতর নামাজ বলা হয়। বিতর নামাজের সময় এশার নামাজের পর থেকে ফজরের নামাজের পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময় বিতর নামাজ পড়া যায়।
বিতর নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। ফরজ বা সুন্নত নয়। ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত প্রতিটি আলাদা পরিভাষা। প্রত্যেকটির হুকুম ও আলাদা। একটিকে আরেকটির সাথে ঘুলিয়ে ফেলা বোকামি ছাড়া কিছু নয়।

বিতর নামাজ ওয়াজিব হবার স্বপক্ষের হাদিস রয়েছে। আর বিতর নামাজ ওয়াজিব হবার স্বপক্ষে অনেক দলিল বিদ্যমান রয়েছে। হযরত আব্দুল্লাহ বিন বুরাইদা তার পিতা রা. থেকে বর্ণনা করেন, রসুল সা. বলেন, ‘বিতর হল হক (সত্য)। সুতরাং যে ব্যক্তি তা আদায় না করবে, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সুনানে আবু দাউদ ১৪১৯, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকি ৪১৪৯, মিশকাতুল মাসাবিহ ১২৭৮)

Pop Ads

এ হাদিসে দু’টি বিষয় লক্ষণীয়। প্রথমত বিতর নামাজকে হক বলে আখ্যায়িত করে এটির প্রয়োজনীয়তা অধিক হবার প্রতি পরিষ্কার ইঙ্গিত করছেন। দ্বিতীয়ত এটি পরিত্যাগকারীকে উম্মতে মুহাম্মদির অন্তর্ভুক্ত নয় বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে। যা পরিস্কারভাবে বিতর নামাজ ওয়াজিব হবার প্রমাণ বহন করছে।

হযরত আবু আইয়্যুব রা. থেকে বর্ণিত। রসুল সা. বলেন, বিতর নামাজ হক ও ওয়াজিব। (সুনানে দারা কুতনি ১৬৪০) হযরত তাউস তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, বিতর নামাজ ওয়াজিব, কাজা হয়ে গেলে তা আদায় করতে হবে। (মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক ৪৫৮৭)

আমর বিন শুয়াইব তার পিতা, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন, রসুল সা. বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের নামাজের মাঝে একটি নামাজ বৃদ্ধি করে দিয়েছেন, সেটি হল বিতর নামাজ। (মুসান্না ইবনে আবি শাইবা ৬৮৫৮)

হযরত আবু আইয়্যুব আনসারী রা. বলেন, বিতর নামাজ ওয়াজিব। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা ৬৮৫৯) হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রসুল সা. ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা বেজোড়, তিনি বেজোড় তথা বিতরকে ভালোবাসেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা ৬৮৬৪) মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবায় আরো এরকম অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে যা সাহাবি ও তাবেয়িগণের বক্তব্য নির্ভর। যা পরিষ্কার শব্দে প্রমাণ করে বিতর নামাজ ওয়াজিব।