ভারতে টানা পাঁচদিন রেকর্ড আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে

সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক): ভারতে টানা পাঁচদিন রেকর্ড আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। গত একদিনেই সেখানে ২৮ হাজারের বেশি মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন।

এতে করে করোনা রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৮ লাখে পৌঁছেছে। প্রাণহানি বেড়ে সাড়ে ২২ হাজারে ঠেকেছে। তবে, আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই সুস্থতা লাভ করেছেন।দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,

Pop Ads

গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৬৩৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। একদিনে আক্রান্তের নিরিখে যা সর্বোচ্চ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

যার ষাট শতাংশই তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)। একইসময়ে প্রাণহানি ঘটেছে ৫৫১ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ৬৭৪ জনের মৃত্যু হলো করোনায়।

দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ১৩ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা।

এদিকে, বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত। এদিকে শনিবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজারে বেশি মানুষ।

এতে করে এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ২ লাখ ৪৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ১১৬ জনের। অবস্থা বেগতিক দেখে আগামী ১৩ জুলাই থেকে ১০ দিনের কড়া লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।

তামিলনাড়ুতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩৪ হাজার ২২৬ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ৮৯৮ জনের।

রাজধানী দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ গেছে ৩ হাজার ৩৩৪ জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১০ হাজার ৯২১ জনে দাঁড়িয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও।

তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। তবে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়লেও, হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও স্বস্তি দিচ্ছে ভারতবাসীকে।

দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৯১ হাজার ৪৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ২৮৬ জন সুস্থ হয়েছেন।

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৫ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী। যেখানে বেঁচে ফেরার হার ৬৭ শতাংশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here