ভুট্টা খেলে যেসব উপকার পাবেন শীতকালে

22
ভুট্টা খেলে যেসব উপকার পাবেন শীতকালে

পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় খাদ্যশস্য ভুট্টা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানা ধরনের ভুট্টা পাওয়া যায়। এগুলো খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। পপকর্ন এবং মিষ্টি ভুট্টা সবচেয়ে জনপ্রিয়। বিভিন্ন জাতের ভুট্টার মধ্যে রয়েছে টর্টিলা, টর্টিলা চিপস, পোলেন্টা, কর্নমিল, কর্ণ ফ্লাওয়ার, কর্ণ সিরাপ এবং কর্ণ অয়েল।

বছরের সবসময় ভুট্টা পাওয়া গেলেও শীতকালে ভুট্টা খাওয়ার মজাই আলাদা। বিশেষ করে কয়লার আগুনে পুড়িয়ে ভুট্টা খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। স্বাস্থ্যকর এই খাবারে রয়েছে ফাইবার এবং প্রচুর ভিটামিন, খনিজ এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরকে রাখে রোগমুক্ত। শীতকালে ভুট্টা খেলে আপনি পাবেন বিশেষ কিছু সুবিধা। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো

Pop Ads

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
ভুট্টাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা হজমের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি পরিপাকতন্ত্রেরও জন্য উপকারী। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তাদের এ সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ভুট্টা। পাশাপাশি পেটের সমস্যা সমাধানেও এটি বেশ কার্যকর। শীতকালীন ডায়েটে সাধারণত আশ আঁশজাতীয় খাবার কম থাকে। ফলে দেহে ফাইবারের পরিমাণ কমে যায়। আর ফাইবারের অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা যায়। কারণ ফাইবার মলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বাল্ক যোগ করে। যার কারণে পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে তা মসৃণভাবে নির্গত হয়ে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে তাই শীতকালে আপনার খাদ্যতালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ ভুট্টা রাখলে পাবেন বাড়তি সুবিধা।

শর্করার উৎস
রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া ও ক্ষুধাবোধ অনুভূত হওয়ার পাশাপাশি মেজাজ খারাপসহ নানা রকম লক্ষণ দেখা দেয়। আর ডায়াবেটিসের সমস্যা না থাকার পরও এই সমস্যা হতে পারে। হৃদস্পন্দনের গতি কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই স্বাভাবিকের চাইতে বেড়ে গেলে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। পাশাপাশি খেতে পারেন ভুট্টা। যা আপনার এই সমস্যার সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি ভুট্টা হৃৎপিণ্ডকেও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ভুট্টায় থাকা দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রোটিনের পরিমাণ ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ।

চোখের জন্য উপকারী
ভুট্টায় থাকে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন এবং জেক্সানথিন। এই দুটি ক্যারোটিনয়েডই চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটি উপাদান চোখকে বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে, যা বয়স্কদের মধ্যে অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ। ভুট্টায় রয়েছে ভিটামিন এ-এর মতো ক্যারোটিনয়েড যা ফল ও সবজিতে বেশি পাওয়া যায়। লুটেইন ম্যাকুলার ছানি পড়া থেকে শুরু করে চোখের অন্যান্য অবস্থার ঝুঁকি কমানোর জন্য বেশ পরিচিত।

ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে
ভুট্টা ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস। এটি ইমিউন সিস্টেমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি ফুসফুসে সংক্রমণ কমায়, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকেও বাঁচায়। এই ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। ত্বক ভালো থাকে। শীতকালে ফুসফুস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, তা থেকে হতে পারে শ্বাসকষ্ঠ। তাই শীতের সময় ভুট্টা খেলে আপনার ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এছাড়াও ভুট্টায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ফসফরাসসহ বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান। যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।