সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ভোগ নয়, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ ছিল ত্যাগের। বঙ্গবন্ধু রাজনীতিতে নীতি-আদর্শকে সর্বোচ্চ স্থান দিতেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেই, রয়েছে তার আদর্শ। সাহস ও প্রজ্ঞা তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে এবং বিশ্ব নেতায় রূপান্তর করেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২০ উপলক্ষে শনিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল।
তারা দীর্ঘ ২১ বছর তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে ও বুঝতে না দিয়ে বিকৃত করে উপস্থাপন করেছে। আইন করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বন্ধ করে খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসন করেছিল। পলক বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পাকিস্তানের দোসর এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কিছু বেঈমান, রাজাকার-আলবদর সেই রাতে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য সাড়ে তিন বছর বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে, মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালিয়েছে।
চূড়ান্তভাবে তারা ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াকেও হত্যা করতে চেয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জিবিত হয়ে আইসিটি বিভাগ কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই নাগরিকদের জন্য করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনীয় পরামর্শ, করোনা সম্পর্কিত সকল সেবার হালনাগাদ তথ্যের জন্য করোনা পোর্টাল, করোনা ডট জিওভি ডট বিডি ও কন্টাক্ট ট্র্যাসিং অ্যাপ চালু করাসহ বহু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করে প্রযুক্তিনির্ভর তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ শামসুল আলম। পরে বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
