সংকটে অর্থনীতি, সামনে অনিশ্চয়তা

66
সংকটে অর্থনীতি, সামনে অনিশ্চয়তা

চলতি অর্থবছরের তিন মাসে মূল্যস্ফীতি, প্রবাসী আয়, রিজার্ভ, খেলাপি ঋণ, রপ্তানি, রাজস্ব—সব সূচকের অবস্থা ভালো নয়।
অর্থনীতির জন্য ভালো খবর মিলছে না। চলতি অর্থবছরের শুরুটা ভালো হয়নি। যে ডলার–সংকট নিয়ে অর্থনীতির খারাপ অবস্থা শুরু হলো, সেই ডলার–সংকট কাটেনি; বরং ডলার–সংকটের প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন খাতে।

মূল্যস্ফীতি, প্রবাসী আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, খেলাপি ঋণ, রপ্তানি, রাজস্ব—কোনো সূচকের অবস্থাই সন্তোষজনক নয়। গত এক থেকে দেড় বছরে প্রায় প্রতিটি সূচকের শক্তিশালী অবস্থান দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেও (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অর্থনীতির বেশির ভাগ সূচকের আরও অবনতি হয়েছে। সব মিলিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এখন হুমকির মুখে।

Pop Ads

আবার চলতি অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর—এই তিন মাস জাতীয় নির্বাচনের সময়। রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। নির্বাচনের সময়ে এমনিতেই ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি শ্লথ থাকে। দেখা দেয় নানা ধরনের অনিশ্চয়তা। সব মিলিয়ে অর্থনীতির বেসামাল অবস্থার দ্রুত উন্নতির আশা দেখছেন না অর্থনীতিবিদেরা।

এই মুহূর্তে অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। রাজনৈতিক বিবেচনায়ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বর্তমান সরকার। ইতিমধ্যে নানা উদ্যোগ নেওয়ায় সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এর মানে আমরা যেসব উদ্যোগ নিয়েছি, তা কাজ করছে। অক্টোবর-নভেম্বর মাসেও মূল্যস্ফীতি কমার কথা
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম

অর্থনীতির সংকট কাটাতে গত দুই বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মূল্যস্ফীতি থেকে বাঁচতে আগ্রাসীভাবে সুদহার বাড়িয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল মুদ্রা সরবরাহ কমানো। বাংলাদেশ একই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে দেড় বছর পর। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকও এখন অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ নেওয়া শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অনেক দেরিতে নেওয়া সিদ্ধান্তের ফলে সংকট কেটে যাবে—এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা কম।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকেই বর্তমান অর্থনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। রাজনৈতিক বিবেচনায়ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বর্তমান সরকার। ইতিমধ্যে নানা উদ্যোগ নেওয়ায় সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এর মানে আমরা যেসব উদ্যোগ নিয়েছি, তা কাজ করছে। অক্টোবর-নভেম্বর মাসেও মূল্যস্ফীতি কমার কথা।’

শামসুল আলম আরও বলেন, ডলারের দাম স্থিতিশীল করার নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে খোলাবাজারে ডলারের দাম বেশি হওয়ায় হুন্ডিতে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে। তাঁর মতে, রিজার্ভ ঠিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। রপ্তানি আয় বাড়লে এবং প্রবাসী আয় কতটা বৈধ চ্যানেলে আসছে, এর ওপর নির্ভর করছে রিজার্ভ বৃদ্ধির বিষয়টি।

এক বছর ধরেই মজুরি বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম। মজুরি বৃদ্ধি হয়েছে গড়ে ৭ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ। অর্থাৎ মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে কাটছাঁট করতে হচ্ছে সীমিত আয়ের মানুষদের।

এক বছরের বেশি সময় ধরে সাধারণ মানুষকে ভোগাচ্ছে মূল্যস্ফীতি। এ সময়ে কিছু উদ্যোগ নিলেও মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে পারেনি সরকার; বরং খাদ্য মূল্যস্ফীতি হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে, যা এখন বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতির হিসাবে গত এক বছরে মানুষের খরচ ৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গত আগস্ট মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ বছর ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ, ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেলে নিম্ন আয় ও মধ্যবিত্তের কষ্ট বেশি বাড়ে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৯ শতাংশের ওপর আছে। গত এক যুগের মধ্যে এক প্রান্তিকে সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি—এমন আর দেখা যায়নি।

এদিকে এক বছর ধরেই মজুরি বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম। মজুরি বৃদ্ধি হয়েছে গড়ে ৭ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ। অর্থাৎ মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে কাটছাঁট করতে হচ্ছে সীমিত আয়ের মানুষদের। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও বাংলাদেশ পারছে না।

বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য চারটি কারণ দেখিয়েছে। যেমন: দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি; দুর্বল মুদ্রানীতি; টাকার অবমূল্যায়ন; সরবরাহব্যবস্থায় বিঘ্ন এবং কঠোরভাবে আমদানি নিয়ন্ত্রণ।

রিজার্ভ সংকট মোকাবিলায় ডলারের জোগানে বড় শক্তি হলো প্রবাসী আয়। কিন্তু যত লোক গত এক বছরে বিদেশে গেছেন, সেই তুলনায় প্রবাসী আয় আসছে না।

দেশের অর্থনীতির বড় শক্তি প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। সেই প্রবাসী আয়েও সুখবর মিলছে না। অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রতি মাসেই ধারাবাহিকভাবে প্রবাসী আয় কমেছে। গত জুলাই মাসে ১৯৭ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। জুলাই মাসে তা আরও কমে দাঁড়ায় ১৬০ কোটি ডলার। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসে আসে ১৩৪ কোটি ডলার; যা গত ৪১ মাসের মধ্যে এক মাসে সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় এল। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ১০৯ কোটি ডলার এসেছিল।

রিজার্ভ সংকট মোকাবিলায় ডলারের জোগানে বড় শক্তি হলো প্রবাসী আয়। কিন্তু যত লোক গত এক বছরে বিদেশে গেছেন, সেই তুলনায় প্রবাসী আয় আসছে না। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ১০ লাখ ৭৪ হাজার কর্মী বিভিন্ন দেশে গেছেন; যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ, আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতের মধ্যে ডলারের দামের পার্থক্য। বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠালে ১ ডলারে ১১০ টাকা পাওয়া যায়। কিন্তু হুন্ডিতে প্রবাসী আয় পাঠালে ১১৬-১১৭ টাকা পান প্রবাসীরা। এ ছাড়া অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, নির্বাচনের বছরে টাকা পাচার বেড়ে যায়। টাকা পাচারে প্রবাসী আয়কে ব্যবহার করার অভিযোগ আছে। বিদেশ থেকে প্রবাসী কর্মীর কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করা হয়। আর দেশে ওই কর্মীর আত্মীয়স্বজনকে টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে। ফলে দেশে ডলার আসছে না। এতে রিজার্ভও কমে যাচ্ছে।

এদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধেও চাপ বাড়ছে। অথচ বিদেশি সহায়তা ছাড় কমেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই-আগস্ট মাসে বিদেশি ঋণ এসেছে ৭৪ কোটি ডলার। গত বছর একই সময়ে ঋণ এসেছিল ৮৬ কোটি ডলার।

রপ্তানি আয়ে খুব বেশি সুখবর নেই। জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর—প্রতি মাসেই প্রবৃদ্ধি থাকলেও তা আশা জাগাতে পারছে না। কারণ, শীর্ষ পাঁচটি রপ্তানি পণ্যের মধ্যে তৈরি পোশাক ছাড়া অন্য চারটির নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসে। আবার মাসের হিসাবেও রপ্তানি আয়ের চিত্র ওঠানামা করছে। গত জুলাই মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৫৯ কোটি ডলার। পরে তা বেড়ে যায় ৪৭৮ কোটি ডলারে। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসে তা আবার ৪৩১ কোটি ডলার। গত দেড় বছরে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে ২৬ শতাংশের মতো। এর সুফল কিছুটা পাচ্ছেন রপ্তানিকারকেরা।

বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভের পতনও ঠেকাতে পারছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলার–সংকট, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি ব্যয় মেটাতে গিয়ে রিজার্ভ কমছিল। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই রিজার্ভ কমেছে ৪৪৬ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুন রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ১২০ কোটি ডলার। ৩ অক্টোবরের হিসাবে তা কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৬৭৪ কোটি ডলার। অবশ্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, রিজার্ভ এখন ২ হাজার ৯০ কোটি ডলার। আর প্রকৃত রিজার্ভ আরও কম, ১ হাজা ৭০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি।

রাজস্ব আদায়ের তিন মাসের হিসাব প্রকাশ করেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কিন্তু অভ্যন্তরীণ খাত থেকে সম্পদ জোগানের চাপ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত—এসব সামলে এনবিআর কিছুতেই শুল্ক-কর আদায়ের লক্ষ্য অর্জনের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না।

এনবিআরের সাময়িক হিসাবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) চার হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় ঘাটতি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এনবিআরের জন্য সব মিলিয়ে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

এদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধেও চাপ বাড়ছে। অথচ বিদেশি সহায়তা ছাড় কমেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই-আগস্ট মাসে বিদেশি ঋণ এসেছে ৭৪ কোটি ডলার। গত বছর একই সময়ে ঋণ এসেছিল ৮৬ কোটি ডলার।

অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বিদেশি ঋণ পরিশোধ প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে ৪৩ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ২৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঝড় দেখেও আমরা ভুল পথে চলেছি। গত দেড় বছরের অর্থনীতি সামলাতে নীতিনির্ধারকেরা যেসব নীতি নিয়েছেন, তা ফল দেয়নি; বরং উল্টো হয়েছে। তাঁরা যা চেয়েছেন, তা হয়নি। রিজার্ভ কমেছে, প্রবাসী আয় কমেছে, মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। আবার সামনে নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আছে। এতে অর্থনীতির সমস্যাগুলো আরও গভীর হবে। তখন শুধু রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে এর দায় চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। এখন থেকে সঠিক নীতি নিতে হবে।’

নীতিনির্ধারকের অর্থনীতিতে চলমান সমস্যাকে প্রথমে স্বীকৃতি দিতে হবে বলে মনে করেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশার আলো দেখতে পারতাম, যদি নীতিনির্ধারকেরা আগে থেকেই সঠিকভাবে সমস্যা চিহ্নিত করতেন এবং সঠিকভাবে উদ্যোগ নিতেন। নীতিনির্ধারকদের আগে অর্থনীতির সমস্যাকে স্বীকৃতি হবে।’

জাহিদ হোসেন বেশ কিছু সংস্কারের পরামর্শ দিয়ে বলেন, মুদ্রানীতির সংস্কার করতে হবে। সুদের হার বাড়ালে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা উচিত। গত তিন মাস টাকা ছাপানো বন্ধ আছে। টাকা ছাপানো বন্ধ রাখার উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। ৫০ শতাংশ এককালীন পরিশোধ করে ঋণ পুনঃ তফসিল করার সুবিধা দেওয়ার পরও খেলাপি ঋণ ২৫ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। এ ধরনের অসৎ আচরণকে প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতে হবে। সার্বিকভাবে আর্থিক ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সংস্কার করতে হবে।