সুপ্রভাত বগুড়া ( ফ্যাশন ও রুপচর্চা ): নতুন পোশাক কে না চায়। নিজেকে স্টাইলিশ করে উপস্থাপন করতে সবাই ছোটে পোশাকের পেছনে। বার বার পাল্টাতে চায় নিজের লুক। তবে যখন যা মন চায় তা করা সম্ভব নয়।
বর্তমানে আপনার সংগ্রহে বেশিরভাগই সাদামাটা আগের পোশাকগুলোই। আলমারি খুললেই মনে হয় সব পোশাকই পরা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ঘাবড়ে গিয়ে শপিংয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
সংগ্রহে যা আছে, তা দিয়েই তৈরি করতে পারেন নতুন লুক। বদলে ফেলতে পারেন স্টাইল স্টেটমেন্ট। সাধারণ পোশাকে স্টাইল করার সহজ টিপস জেনে নিন।
-যে একরঙা লম্বা ঝুলের টপের কোমরের অংশটা চাপা, সেগুলোর সঙ্গে শুধু কোমরে একটা ট্রাইবাল স্টাইলের চওড়া বেল্ট লাগিয়ে নিন। অনেক বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করবে আপনার সাজ।
-ডেনিমের একঘেয়েমি কাটানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন রঙের জেগিংস। এমনকী, একরঙা টপের সঙ্গে প্রিন্ট জেগিংসও পরতে পারেন। সঙ্গে কালারফুল স্নিকার্স পরে নিন।
-এখন বাজারে হরেক রকমের স্কার্ফ পাওয়া যায়। কয়েকটা রেখে দিতে পারেন সংগ্রহে। রোজকার পোশাকের একঘেয়েমি কাটিয়ে ফেলার জন্য এগুলো উপযুক্ত।
লম্বা কুর্তা কিংবা স্কার্টের সঙ্গে নিয়ে নিতে পারবেন ভাইব্র্যান্ট কালারের যে কোন স্কার্ফ। শুধু বাঁধার কায়দাটা মাঝে মাঝে বদলে ফেলুন। ইউটিউব দেখে শিখে নিন টিপস।
-একরঙা টি-শার্ট আর জিন্স পরেই বেরিয়ে যাচ্ছেন প্রতিদিন। অথচ বাইরে বেরিয়ে অন্তত ১০ জনকে দেখছেন একই পোশাকে। সেক্ষেত্রে পোশাকের বিপরীত রঙের একটা স্টেটমেন্ট নেকপিস ঝুলিয়ে নিন গলায়। ব্যস! লুক পাল্টে যাবে মুহূর্তেই।
-জুতোর দিকে একটু নজর দিলেই বদলে যেতে পারে আপনার স্টাইল স্টেটমেন্ট। যে কোন সাদামাটা ড্রেসের সঙ্গে গাঢ় রঙের জুতো পরে নিন। প্রিন্টেড জুতোও পরতে পারেন একরঙা জামার সঙ্গে।
-যে কোন জামার সঙ্গে নিতে পারেন একটা বড়সড় হোবো ব্যাগ। ঝোলাও কিন্তু ঘুরেফিরে চলে আসে ট্রেন্ডে। খুব সহজেই পেয়ে যাবেন স্মার্ট লুক।
-কলেজ ইউনিভার্সিটিতে ক্যাজুয়াল সাজই রোজ ভাল লাগে। তবে মাঝে মাঝে একটু এক্সপেরিমেন্ট করতেই পারেন। সাধারণ টপের বদলে গ্রাফিক প্রিন্টেড ক্রপ টপ পরতে পারেন কখনও।
