সুপ্রভাত বগুড়া (ধর্ম ও জীবন): অনিশ্চিত এ বছরের হজযাত্রা। করোনার কারণে থমকে গোটা বিশ্ব। যার প্রভাব পড়েছে পবিত্র হজেও। এবারের হজ শুধু সৌদি নাগরিকদের নিয়ে হবে নাকি সীমিত আকারে যেতে পারবে বিশ্বের মুসল্লিরা? সে সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি সৌদি সরকার।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ১৫ জুন পর্যন্ত। তবে প্রস্তুত বাংলাদেশ। সামর্থ্যবান মুসলমানরা প্রতিবছর ফরজ ইবাদত হজ পালনের অপেক্ষায় থাকেন। গত ১ দশক ধরে গড়ে ২৫ লাখ মুসলিম হজ পালন করে আসছেন।
এ বছর সবচেয় বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার জন্য সৌদি সরকার নির্ধারিত সংখ্যা ২ লাখ ৩১ হাজার। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর হজ বাতিল করেছে দেশটি।
এরপরের অবস্থানে পাকিস্থান ও ভারত ২ লাখ করে। বাংলাদেশ ১ লাখ ৩৭ হাজার, নাইজেরিয়া ৯৫ হাজার আর তুরস্ক ৮৩ হাজার।
আর নিজেদের জন্য মোট সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ নিজেদের জন্য বরাদ্দ রাখে সৌদি সরকার। করোনার কারণে এখনও ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশের পরিস্থিতি। এমন অবস্থাতেও প্রায় ৬৫ হাজার হজযাত্রী নিবন্ধন করে অনেকেই আংশিক টাকা জমা দিয়েছেন।
হাব বলছে, হজের জন্য তারা প্রস্তুত বাকিটা নির্ভর করছে সৌদি সরকারে সিদ্ধান্তের ওপর। এদিকে মধ্য জুন পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত জানাবে সৌদি আরব। ধর্মপ্রতিমন্ত্রী জানান, সৌদি সরকার বাতিল না করলে বাংলাদেশ বাতিল করবে না।
এ বছর হজ বাতিল হলে যারা নিবন্ধন করেছেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী বছর তাদের হজে নেয়া হবে। তবে যদি কেউ টাকা ফেরত নিতে চায়, তাহলে তা ফেরত দেয়া হবে।