ঈদের আগে কেনাকাটার জন্য দোকানপাট খোলা রাখার নির্দেশ

সুপ্রভাত বগুড়া ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখতে ক্ষুদ্র শিল্প, হাট-বাজার চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ঈদের আগে মার্কেট খোলারও ইঙ্গিত দেন তিনি।

তবে মানুষকে সুরক্ষিত রেখে, মানুষের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে যেন দোকানপাট পরিচালিত হয়- সেদিকে নজর রাখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ সোমবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর বিভাগের আটটি জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

Pop Ads

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোজার মাসে যাতে কেনাবেচা চলতে পারে তার জন্য দোকানপাট খোলা, বাজার-হাট চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলায় জেলাভিত্তিক ক্ষুদ্র শিল্প চালানো যাবে। অর্থনীতির চাকা যাতে গতিশীল থাকে, সেখানে মানুষকে সুরক্ষিত রেখে, মানুষের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে, সেগুলো যেন পরিচালিত হতে পারে।’তিনি বলেন, ‘সরকারি অফিস আদালত সব সীমিত করে চালু করে দিচ্ছি।

সামনে ঈদ, তার আগে কেনাকাটা বা যা যা দরকার সেগুলোও যেন মানুষ করতে পারে। কিন্তু এখানে মনে রাখতে হবে, সেখানে জনসমাগম থেকে মুক্ত থাকতে হবে। সেখানে কিন্তু সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে গেছে।’রোজার মাস উপলক্ষে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ধীরে ধীরে কিছু জিনিস উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেখানে সবাইকে নিজেকে ও অপরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।’

এ ব্যাপারে বেশকিছু নির্দেশনা মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, খুব শিগগিরই নির্বাচিত ৫ হাজার ৫৪ জন নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। যাদের করোনাভাইরাসের চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এ সময় চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীসহ নিজ দলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি যারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ দেন তিনি।ব্যবসার জন্য যারা ঋণ নিয়েছেন তাদের দুই মাসের সুদ স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানান কনফারেন্সে জানান প্রধানমন্ত্রী।

সেইসঙ্গে করোনায় যাদের আয়-উপার্জনের পথ নেই তাদের ঈদের আগে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার কথাও জানান শেখ হাসিনা।রংপুর বিভাগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি রংপুরকে বিশেষভাবে বলে রাখছি, যেহেতু এটা মঙ্গাপীড়িত এলাকা ছিল। যারা একটু স্বচ্ছল, প্রশাসন বা আমাদের নেতাকর্মী যারা আছেন, সকলকে অনুরোধ করব, এই এলাকায় যেন আবার মঙ্গা ফিরে না আসে।

সে জন্য বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।’নিম্নবিত্তদের মধ্যে যারা হাত পাততে পারছে না তাদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।করোনাভাইরাস নিয়ে দেশের আটটি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদা ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন শেখ হাসিনা। আজ রংপুরই ছিল শেষ বিভাগ। রংপুর বিভাগের জেলাগুলো হলো- পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা।

এর আগে ছয় ধাপে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ এবং রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে স্বাস্থ্যবিধিসমূহ মেনে চলার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সংকট উত্তরণের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজেরও ঘোষণা দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here