বন্যার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে সিলেট অঞ্চলের মানুষ। পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া নিখোঁজদের খুঁজে ফিরছেন স্বজনরা। এখন পর্যন্ত এসব মানুষের কোন তথ্য না থাকলেও, প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হচ্ছে মরদেহ। গত পাঁচ দিনে সিলেট বিভাগে ২৩টি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জনই নিখোঁজ ছিলেন পানিতে ভেসে। এ সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোববার সুনামগঞ্জের হাওরে পাওয়া যায় বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া পুলিশ সদস্য আবুল কাশেমের মরদেহ। একই দিন আরো তিনটি মরদেহ উদ্ধার হয় সিলেটের বিশ্বনাথ ও জৈন্তাপুরে। পানির স্রোতে কোম্পানিগঞ্জ, গোয়াইনঘাটসহ সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন অনেকে। ক’দিন ধরেই বিভিন্ন স্থানে ভেসে উঠছে তাদের মরদেহ। এখনো সন্ধান নেই অনেকের।
গত পাঁচদিনে বিভাগের চার জেলায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু বন্যার পানিতে ভেসে। অন্যগুলো বিদ্যুৎস্পর্শ ও সাপের কামড়ের ঘটনা। এ সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিভাগের। ভয়াবহ বন্যায় শুধু সিলেটেই পানিবন্দী ২০ লাখের বেশি মানুষ। সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান বিশিষ্টজনদের।
ঘর-বাড়ি থেকে পুরোপুরি পানি না নামায় নিজ বাসস্থানে ফিরতে পারছেন না আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা সিলেট ও সুনামগঞ্জের অন্তত ৪ লাখ মানুষ। এদিকে, উত্তরাঞ্চলসহ বন্যা কবলিত মোট ১৭ জেলায় বানভাসীদের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। বিপৎসীমার উপরে বইছে রংপুর, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, হবিগঞ্জ, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নেত্রকোণা ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। বাড়ছে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট।
মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। জেলার শতাধিক বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। এছাড়া জেলা সদর ও রাজনগর উপজেলার কুশিয়ারা নদী পাড়ের অন্তত ২০টি গ্রাম এখনো পানিতে তলিয়ে আছে।