সিলেটে টাইগার পেইসারদের তাণ্ডব, স্পটলাইট হাসান মাহমুদের দিকে। ক্যারিয়ারে প্রথমবার পাঁচ উইকেট নিলেন এই তরুণ। আয়ারল্যান্ডকে ১০১ রানে গুটিয়ে দিতে দশ উইকেটই পেইসারদের দখলে। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথমবার।
টাইগার পেইস ইউনিটে প্রতিযোগিতা উপভোগ্য মধুর প্রতিদ্বন্দ্বীতায় মুস্তাফিজ-ই যেন পিছিয়ে। ফিজকে বিশ্রাম দিয়েই সুযোগ হাসান মাহমুদের, শেষ ওয়ানডেতে তার আগুনে বোলিং। আয়ারল্যান্ড ব্যাটাদের কাঁপিয়ে দিলেন এই তরুণ। স্টার্লিং, টেক্টর লাইন মিস করে ধরাশায়ী।
শেষ স্পেলে আইরিশদের লেজ ছেটে দিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ হাসানের। ৩২ রানে পাঁচ শিকার আফতাবকে বাদ দিলে টাইগার পেইসারদের তালিকায় হাসানের বোলিং ফিগার, ছয় নম্বরে। ক্যারিয়ারে প্রথম ফাইফারে অধিনায়ক-সতীর্থদের মধ্যমনি হয়ে রইলেন। গুরু অ্যালান ডোনাল্ডও মহাখুশি শিষ্যের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে।
বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার ৫ উইকেট নিলাম, আমি রোমাঞ্চিত। কন্ডিশনে হেল্প ছিলো, সেটা কাজে লাগিয়েছি। কোচ ডোনাল্ডের অধিনে পেইস ইউনিট দারুণ করছে।
কন্ডিশন সহায়ক ছিলো, তবে কৃতিত্ব পেইসারদের দিতেই হবে। লাইন-লেংথ আর সুইয়ের ভেরিয়েশন-ই বলে দেয় কোথায় বাজিমাত করেছেন হাসান-তাসকিনরা, কোন পরিকল্পনায় আটকেছেন আইরিশ ব্যাটারদের।
ধারাবাহিকতা রেখে তাসকিন লিডিং রোলে ঠিকঠাক, তার দখলে তিন উইকেট। সিলেট রকেট, এবাদতের জোড়া শিকার। প্রতিপক্ষের দশ উইকেটই পেইসারদের দখলে। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে এই প্রথম।
তাসকিনই শুধু দশ ওভারের কোটা পূর্ণ করেছেন। তিনজন মিলে মোট ২৪ দশমিক ১ ওভার বোলিং করে মাত্র ৮৭ রান খরচায় তুলেছেন ১০ উইকেট। ২৮ ওভার ১ বল টিকেছে আয়ারল্যান্ড, যেখানে মাত্র ৩ ওভার করেছেন স্পিনাররা। সাকিব তো বোলিংয়েই আসেননি এদিন। আসলে প্রয়োজনই পড়েনি। পেইসারদের উদযাপনটাই উপভোগ করেছেন।