অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আসলে করোনাভাইরাস সারাতে কার্যকরী না : অক্সফোর্ডের গবেষক

সুপ্রভাত বগুড়া ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী দাপিয়ে বেড়ানো করোনা রোধে দিনরাত কাজ করে চলেছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। এ রোগ প্রতিরোধে একের পর এক ভ্যাকসিন নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন বিশ্ববাসী। তার মধ্যে সবার চোখ ছিল অক্সফোর্ডের দিকে।

কিন্তু করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটি নিয়ে হতাশার খবর জানিয়েছেন সেখানকার গবেষকেরা। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত বানরের ওপর পরীক্ষায় অকার্যকর হয়েছে তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। এ ট্রায়ালের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্সফোর্ডের এ ভ্যাকসিন আসলে করোনাভাইরাস সারাতে কার্যকরী না।

Pop Ads

তবে নিউমোনিয়ার মতো ঠান্ডাজনিত রোগ সারাতে পারে। ‘সিএইচএডিওএক্স১ এনসিওভি-১৯’ নামের ভ্যাকসিনটি শিম্পাঞ্জির সাধারণ কোল্ড ভাইরাস দূর করার জন্য প্রয়োগ করা হয়, এর দুর্বল সংস্করণ মানুষের শরীরেও কাজ করে কি-না তা নিয়ে পরীক্ষা চলছে। এর আগে বানর ও ইঁদুরের শরীরে এই ভ্যাকসিন কাজে দেয় বলে কিছু গবেষণায় এমন ফল পাওয়ার পর পরীক্ষামূলকভাবে তা মানুষ্য শরীরেও প্রয়োগের উদ্যোগ নেয় গবেষকেরা।

মে মাসের শেষ নাগাদ এ ভ্যাকসিনের ৫০ লাখ ডোজ উৎপাদনের ঘোষণা দেয় পুনেভিত্তিক ভারতের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটও। ‘অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপ’ – এ যে ভ্যাকসিনটি নিয়ে কাজ চলছে তাতে বিশ্বের সাতটি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ আছে; পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট একটি।

এরই মধ্যে প্রকাশ্যে আসলো বানরের ওপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের গবেষণার পূর্ণাঙ্গ ফল। মূদ্রণ অবস্থায় প্রকাশের আগে বায়োআরএক্সআইভি সার্ভারে পাওয়া যাচ্ছে ট্রায়ালের ফলাফল। তাতে বলা হয়েছে, এই ভ্যাকসিন হয়তো মানুষকে করোনায় আক্রান্ত হওয়া বা অন্যের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে মহৌষধ হতে পারবে না।

যদিও এই গবেষণা প্রতিবেদন আরও পর্যালোচনা করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটি পড়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইমিউনোলোজির ফ্যাকাল্টি, সিএসআইআর-ইনস্টিটিউট অব জেনোমিকস অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ বায়োলজির সাবেক প্রধান রাজেশ গোখলে।

তিনি জানান, বানরের ওপর পরীক্ষায় যে ফল এসেছে ‘বাস্তবিক’ বিশ্বে কোনো প্রতিষ্ঠানই এই ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে প্রয়োগ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অব্যাহত রাখবে না। বিশ্বের ৪৮ লাখ ৯১ হাজার ৩২৬ মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ লাখ ২০ হাজার ১৩৪ জন মারা গেছেন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ১৯ লাখ ৭ হাজার ৪১৩ জন সুস্থ হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত পরিসংখ্যান ভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারে প্রকাশিত সর্বশেষ আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে ২৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৯ জনের শরীরে সংক্রমণ রয়েছে। তাদের মধ্যে ২৬ লাখ ১৯ হাজার ১৪ জনের সংক্রমণ মৃদু। এছাড়া ৪৪ হাজার ৭৬৫ জনের অবস্থা গুরুতর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here