সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের অপসংস্কৃতি বন্ধ করায় বিচার বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে স্মৃতি চিরঞ্জীব স্মারকসৌধ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কৃতজ্ঞতা জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে স্মার্ট জুডিশিয়ারির কাজ এগিয়ে চলছে। এর বাস্তবায়নে মানুষের ন্যায় বিচারপ্রাপ্তি সহজতর হবে। অনুষ্ঠানে আগামী দিনে দেশের অর্থনীতির চাকা যেন থেমে না যায়, ন্যায় বিচার, গণতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার যেন বজায় থাকে সেজন্য বিচার বিভাগের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিল করে সুপ্রিমকোর্ট অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করেছে। আর কেউ বাংলাদেশে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারবে না।
ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে ৩৫ বছর পর জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচারে সহায়তার জন্য বিচার বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমি বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে হত্যার বিচার পাইনি। ৩৫ বছর পর নিজে যখন ক্ষমতায় আসলাম, তারপর বিচারকাজ শুরু করতে পেরেছি। তবে জনগণ যাতে ঠিক সময়ে বিচার পায় সেজন্য কাজ করে যাচ্ছি।
ভার্চুয়ালের কোর্টের ফলে মানুষ দ্রুত এর সুফল পাচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ যাতে সঠিক বিচার পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। এসময় সুপ্রিম কোর্টের জন্য নতুন বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন নির্মাণের দাবি পূরণে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈশ্বিক সংকটের কারণে বর্তমানে রিজার্ভ ও অর্থনীতিতে চাপ থাকলেও আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠবো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা কেউ বন্ধ করতে পারবে না।