আর ফ্রী নয়! দেশে করোনা পরীক্ষার জন্য ফি নির্ধারণ করছে সরকার

সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা বন্ধ। আর ফ্রী নয়! দেশে করোনা পরীক্ষার জন্য ফি নির্ধারণ করছে সরকার। ছবি-সংগৃহীত

সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা বন্ধ !!

সুপ্রভাত বগুড়া (প্রচ্ছদ): সরকারি হাসপাতালগুলোতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে সরকার। ইতোমধ্যে ফি চালুর ব্যবস্থা (অর্থ বিভাগের সম্মতি-সাপেক্ষে) সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হাসপাতাল অনুবিভাগ থেকে পেশ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রস্তাবটি পাশ হলে নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকার নির্ধারিত অংকের টাকা ফি-বাবদ গুনতে হবে।

এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকেও সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। বর্তমানে ব্যয়বহুল এ পরীক্ষা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করার ফলে পরীক্ষাটির অনেক অপব্যবহার হচ্ছে। এই অপব্যবহার রোধে একটি মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

Pop Ads

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করছে। সরকারি হাসপাতাল ও বুথে গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করালে ফি দিতে হবে ২০০ টাকা। আর বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করালে ৫০০ টাকা ফি দিতে হবে বলে রোববার দেশের একটি প্রথম সারির গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, করোনার কারণে সরকারের আয় কমে গেছে।

একেকটি নমুনা পরীক্ষার পেছনে যে টাকা খরচ হয়, বাংলাদেশের মতো দেশে এটি দুই থেকে তিন মাস বিনা মূল্যে করা সম্ভব। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে সম্ভব নয়। দেশে যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদে নমুনা পরীক্ষা করতে হবে।

এ জন্য সরকার একটি ফি নির্ধারণ করতে যাচ্ছে। দ্বিতীয় কারণ হলো, নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে এর অপব্যবহার হচ্ছে। অনেকের শরীরে করোনার উপসর্গ না থাকলেও সন্দেহ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করাচ্ছে। সন্দেহ হলে পরীক্ষা নিরুৎসাহ করার জন্যও সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।

এর আগে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে সরকারিভাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথমদিকে শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) নমুনা পরীক্ষা করা হতো।

সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে সরকারি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ৬৬টি সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। সংখ্যাটা আরো বাড়বে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here