একজন ক্ষণজন্মা মনিষী

মাওলানা শুয়াইবুর রহমান বালাউটি রহ। ছবি-সংগৃহীত

মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম সাদকি

সুপ্রভাত বগুড়া (শক্ষিা-সাহত্যি): আধ্যাত্নকি রাজধানী সলিটেরে মুকুটহীন সম্রাট শাহজালাল রহ: ও ৩৬০ আউলয়িার স্মৃতধিন্য ভূমতিে এবং ইসলামকি চন্তিা-চতেনার প্রচার প্রসারে খ্যাতমিান প্রাণপুরুষ আল্লামা ফুলতলী রহ:-এর অন্যতম খলফিা, জালালপুর জালালয়িা কামলি মাদরাসার সাবকে অধ্যক্ষ, সলিটেরে প্রখ্যাত আলমেদ্বেীন অধ্যক্ষ মাওলানা শুয়াইবুর রহমান বালাউটি রহ: এক জীবন্ত ইতহিাস, গীেরবরে কংিবদন্ত।ি
সত্য-ন্যায় এবং আহলে সুন্নাতওয়াল জামাতরে জন্য তনিি আজীবন সংগ্রাম ও পাশাপাশি জ্ঞানরে আলো বতিরণে নরিলস চষ্টো করছেনে। র্দাশনকি বাট্রান্ড রাসলে একটি ভালো জীবন বলতে জ্ঞানরে দ্বারা পরচিালতি জীবনকইে বুঝয়িছেনে।

অধ্যক্ষ বালাউটি রহ: তাঁর সমগ্র জীবন প্রবাহে জ্ঞানরে প্রচার-প্রসার এবং সত্য সুন্দররে বহ:িপ্রকাশ ঘটয়িছেলিনে। অধ্যক্ষ বালাউটি রহ: আজ আমাদরে মাঝে নইে, কন্তিু তাঁর চন্তিায় ও বশ্বিাসে অনন্দ্যি সুন্দর উপাসনা ্্আর বলষ্ঠি ও প্রখর ব্যক্তত্বিরে গুণাবলী সবার মাঝে ছড়য়িে আছে তাঁর জীবনরে বভিন্নি গুণাবলি আমাদরেকে সঠকি পথ চলতে সহায়ক ভূমকিা রাখব।ে তনিি একজন যুগ শ্রষ্ঠে খ্যাতমিান আলমে। তাঁর আপাদমস্তক ছলি রাসুল সা:-এর আর্দশে উদ্ভাসতি বস্মিয়কর প্রতভিার অধকিারী। তনিি ছলিনে জালমি ও রাসুল সা:-এর শক্রদরে বরিুদ্ধে সোচ্চার। তাগুতরে বরিুদ্ধে তাঁর সময়োপযোগী এবং সাহসী কন্ঠ ছলি ধারালো তরবাররি চয়েওে কঠোর। রাসুল সা:-এর আর্দশে অনুপ্রাণতি এ মহান ব্যক্তরি মাঝে ছলি প্রমে, প্রীত,ি স্নহেরে ও ভালোবাসার মধুর সুর, অনাচার নর্যিাতনরে এবং সকল বাতলিরে বরিুদ্ধে বদ্রিোহরে প্রতীক।

Pop Ads

অধ্যক্ষ বালাউটি রহ: ব্যক্তি জীবন থকেে শুরু করে পারবিারকি, সামাজকি, প্রাতষ্ঠিানকি ও আধ্যাত্মকি জীবনসহ সকল র্পযায়ইে ছলিনে এক আর্দশরে প্রতকিৃত।ি তাঁর আর্দশরে কারণে শক্ষিক-শক্ষর্িাথী, জাত,ি র্ধম, র্বণ নর্বিশিষেে সকলরে হৃদয়ে স্বতন্ত্র আসন করে নয়িছেলিনে। অধ্যক্ষ বালাউটি রহ: ১৯৪৩ সালে ১৫ মে সলিটে জলোধীন জকগিঞ্জ উপজলোস্থ ৩নং কাজলসার ইউনয়িনে বালাউট গ্রামে জন্মগ্রহণ করনে। তাঁর পতিা মো. রছমান আলী মাতা জয়নব ববি।ি প্রাক-প্রাথমকি শক্ষিা গ্রহণ করনে পতিা-মাতার কাছ।ে প্রাথমকি শক্ষিা গ্রহণ করার পর তাঁর মুরশদি আল্লামা ফুলতলী রহ: তাঁকে সড়করে বাজার জয়পুর গ্রামরে কুতুব আলীর বাড়তিে লজংি করে দয়িে বললনে, ‘এই ছলেকেে তোমার দায়ত্বিে দয়িে দলিাম।

তুমি মাদরাসাতে র্ভতি করে দবে’ে। ১৯৪৭ সালে অধ্যক্ষ বালাউটি রহ: সড়করে বাজার আলয়িা মাদরাসায় র্ভতি হন। ১৯৪৯ সালে বাড়রি নকিটস্থ হাড়কিান্দি মাদরাসায় র্ভতি হয়ে প্রাথমকি শক্ষিা সমাপ্ত করনে। অত:পর ইছামতি দারুল উলূম কামলি (এম.এ) মাদরাসা থকেে ১৯৫৬ সালে দাখলি, ১৯৫৮ সালে আলমি পরীক্ষায় প্রথম বভিাগে উর্ত্তীণ হন।উক্ত মাদরাসা থকেে ১৯৬০ সালে ফাজলি পাশ করে র্ভতি হন সলিটেরে অন্যতম বদ্যিাপীঠ ‘সলিটে সরকারি আলয়িা মাদরাসায়’ এবং ১৯৬২ সালে কৃতত্বিরে সাথে কামলিও উর্ত্তীণ হন। ১৯৬০ সালে ছাত্রাবস্থায়ই র্কমজীবন সূচনা করনে বাদদেওেরাইল ফুলতলী কামলি (এম.এ) মাদরাসায় খন্ডকালীন সহকারী শক্ষিক হসিবে।ে

১৯৬২ সালে উক্ত প্রতষ্ঠিানইে প্রধান শক্ষিক হসিাবে যোগদান করে ১৯৭৫ সাল র্পযন্ত দায়ত্বি পালন করনে। ১৯৭৬ সাল থকেে ১৯৮২ সাল র্পযন্ত আটগ্রাম আমজদয়িা মাদরাসায় প্রধান শক্ষিকরে দায়ত্বি পালন করনে।
১৯৮২ সাল থকেে সলিটে দক্ষণি সুরমা উপজলোস্থ জালালপুর জালালয়িা কামলি মাদরাসায় অধ্যক্ষ পদে দায়ত্বি পালন করে ২০০৮ সালে অবসর গ্রহণ করনে। তনিি ১৯৯০ সালে সলিটে জলো শক্ষিা সপ্তাহে শ্রষ্ঠে প্রতষ্ঠিান প্রধান এবং ১৯৯৩ সালে জাতীয় শক্ষিা ব্যবস্থাপনা একাডমেী আয়োজতি প্রশক্ষিণে ‘শ্রষ্ঠে অধ্যক্ষ’ সম্মানে ভূষতি হন।

অধ্যক্ষ বালাউটি রহ: উপমহাদশেরে প্রখ্যাত বুর্জুগ, আল্লামা ফুলতলী রহ:-এর কাছ থকেে ১৯৬৭ সালে ইলমে করোতরে সনদ ও ১৯৭১ সালে আধ্যাত্মকি সাধনার সনদ লাভ করনে। আল্লামা ফুলতলী রহ:-এর কাছে বায়আত হওয়া গঠনা নজিইে র্বণনা করণে- ‘আল্লামা ফুলতলী রহ:-এর কাছে বায়আতরে র্পূবে আমি শাহ ইয়াকুব বদরপুরী রহ:- এর কাছে বায়আত ছলিাম। শাহ ইয়াকুব বদরপুরী রহ:-এর ইন্তকোলরে র্পূবে একটি ঘটনা আমার অন্ত:চক্ষু খুলে যায়। ঘটনাটি আল্লামা ফুলতলী রহ:-এর অন্যতম কারামত ও তনিি যে কামলি ওলী এ বষিয়ে আমার দৃঢ় বশ্বিাস জন্মায়। আমি মাধ্যমকি শক্ষিায় অধ্যয়নরত অবস্থায় বশেি সংখ্যক ফুলতলী মসলক ছাড়া উস্তাদরে কাছে থকেে জ্ঞান র্অজন করার কারণে আল্লামা ফুলতলী রহ:-এর প্রতি বরিূপ মনোভাবরে সৃষ্টি হয়ছেলি। দওেয়ানচক গ্রামে লজংি থাকাকালে গ্রামরে মসজদিরে ইমাম মরহুম আবদুছ ছবুর সাহবে রমজানে একাকী ইতকিাফে বসতে সম্মত না হওয়ায় গ্রামবাসীর অনুরোধে আমওি তাঁর সাথে শামলি হই।

ইতকিাফরত একদনি সকালে আমি ‘নূরুল আনওয়ার’ কতিাব পড়ছি এবং তনিি কুরআন শরীফ পড়ছনে, এমতাবস্থায় কথা প্রসঙ্গে তনিি আল্লামা ফুলতলী রহ:-এর কথা উল্লখে করলে আমি বললাম, উনি একজন বদোতী পীর, উনার কথা এখানে আলোচনা করা ঠকি নয়। তনিি অত্যন্ত আর্শ্চাযান্বতি হয়ে র্আতনাদরে সুরে বললনে, আরে উনার কথা এভাবে বলো না, তনিি একজন কামলি ওলী। উল্লখ্যে, ইমাম সাহবে শাহ ইয়াকুব বদরপুরী রহ:-এর মুরীদ ছলিনে। আমাদরে আলোচনার এক র্পযায়ে সর্ম্পূণ অকল্পতিভাবে আমরা দু‘জন ঘুময়িে পড়।িঅথচ আমার কতিাব এবং উনার কুরআন তখনো খোলা অবস্থায় ছলি। এটা ঘুম না অজ্ঞান হওয়া আমরা দু‘জনরে একজন বুঝতে পারনি।ি আমি স্বপ্নে দখেলাম, একটি অনাবাদী বাড়রি পুকুরপাড়ে হাতলবহিীন নতুন চয়োরে আল্লামা ফুলতলী রহ: উত্তরমুখী হয়ে বসে আছনে। তাঁর সামনে একটি মাটরি স্তুপ।

আমার ধারণা হচ্ছে স্তুপরে নীচে একটি কূপ আছে এবং শাহ ইয়াকুব বদরপুরী রহ. সইে কূপরে ভতেরে শয়তানকে বন্দী করে রখেছেনে, আল্লামা ফুলতলী রহ: কে প্রহরী হসিবেে বসয়িে রখেছেনে। আমি দখেলাম, কছিুক্ষণ পর পর বন্দী শয়তানটি মাথা উঠাতে চষ্টো করলে মাটরি স্তুপটওি উপররে দকিে উঠে যায়। তখন আল্লামা ফুলতলী রহ: তাঁর চয়োররে পাশে রক্ষতি কছিু ঢলিা নয়িে কুরআনরে একটি আয়াত পড়া অবস্থায় শয়তানরে উপর ঢলিা নক্ষিপেরে জন্য হাত উঁচু করার সাথে সাথে শয়তানরে মাথা নচিু করে ভতেরে ঢুকে নয়ে। মনে হলো কুরআনরে আয়াতটি আল্লামা ফুলতলী রহ:-এর মুখে উচ্চারতি হচ্ছে কন্তিু আওয়াজটি যনে আসমান থকেে আসছ।ে

উক্ত আসমানী আওয়াজ আমার হৃদয়ে এমনভাবে আঘাত করছ,ে যা আমার মন গলে চোখ দয়িে পানি ঝরছে আমি শব্দ করে কাঁদছ।ি স্বপ্ন দখো সইে মুর্হুতে ইমাম সাহবে আমার মাথায় হাত বুলয়িে আমাকে জাগ্রত করে বললনে, এইতো ভালোভাবে কথা বললনে, হঠাৎ কী হলো শব্দ করে কাঁদছনে কনে? উঠে দখেি আমার চোখরে পানতিে মসজদিরে চাটাই ভজিে মাটরি কছিু অংশও ভজিে গছে।ে উক্ত ঘটনার কছিুদনি পর শাহ ইয়াকুব বদরপুরী রহ: ইন্তকোল করলনে। তাঁকে দাফনরে পররে দনি উপস্থতি কছিু মুজায ও মুতাআল্লকিীন শাহ ইয়াকুব বদরপুরী রহ:-এর খাস কামরায় বঠৈকে বসনে। আল্লামা ফুলতলী রহ:-এর প্রস্তাবে সকল একত্রতি থাকার জন্য শাহ ইয়াকুব বদরপুরী রহ:-এর বড় ছাহবেজাদা আল্লামা মাহমুদুর রহমান রহ:-এর হাতে উপস্থতি সকলইে বাইয়াত হই। উপস্থতি এই সময় স্বপ্নরে ঘটনাটি আমার মনে বার বার উদতি হচ্ছলি। হঠাৎ আল্লামা ফুলতলী রহ:-এর নযর আমার উপড় পড়ল। আমাকে কাছে ডকেে বললনে, তুমি ‘আল্লাহ আল্লায়‘ লগেে যাও। আল্লামা ফুলতলী রহ:-এর ‘নকে নযর ও সংর্স্পশ লাভ আমার জীবনে আল্লাহর এক নয়িামত’।

ইসলামি র্দাশনকি হসিবেে র্সবমহলে পরচিতি অধ্যক্ষ শুয়াইবুর রহমান বালাউটি রহ:। তাঁর প্রতষ্ঠিতি খানকা ও শক্ষিাপ্রতষ্ঠিান তাঁকে করছেে জননন্দতি। তাঁর নজি হাতগেড়া শক্ষর্িাথীবৃন্দ দশে-বদিশেে উচ্চ র্পযায়রে চাকুরীতে নয়িোজতি থকেে সুনাম কুড়াচ্ছনে। তাঁর রচতি কয়কেটি গ্রন্থ রয়ছে।ে তনিি সমাজ ও দশে হতিষৈী র্কমকান্ডে সবার নকিট প্রশংসতি। সৃষ্টর্কিতা তাঁর সকল খদিমতকে কবুল করুন এবং তাঁকে জান্নাতরে উচ্চ মাকাম দান করুন। আমনি।
লখেক: প্রাবন্ধকি।
(মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম সাদকি)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here