করোনা পরিস্থিতিতে দেশের ৬৮ ভাগ পরিবার আর্থিক সংকটে : বিবিএস

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের ৬৮ ভাগ পরিবার আর্থিক সংকটে : বিবিএস

সুপ্রভাত বগুড়া (অর্থ ও বাণিজ্য): করোনা পরিস্থিতিতে দেশে আর্থিক সংকটে পড়েছে ৬৮ ভাগ পরিবার। গেলো মার্চের চেয়ে আগস্টে এসে এসব পরিবারে আয় কমেছে গড়ে ২০ ভাগের বেশি। এছাড়া সেপ্টেম্বরে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় চার শতাংশে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএস-এর জরিপে উঠে এসেছে এসব তথ্য। মঙ্গলবার একনেক সভা শেষে জরিপের ফল তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সঙ্কট মোকাবিলায় সরকারি সহায়তা বাড়ানোর পরামর্শ অর্থনীতিবদের।

করোনায় বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতি এবং মানুষের জীবন-জীবিকা। চাকরি হারিয়ে বেকার হয়েছেন অনেকে। আবার আয় কমে যাওয়ায় সংকটের মুখে পড়েছে অনেক পরিবার। মানুষের জীবিকার ওপর করোনার অভিঘাত নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ বলছে, চলতি বছর মার্চে যেসব পরিবারের আয় ১৯ হাজার ৪২৫ টাকা ছিল, আগস্টে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪৯২ টাকায়। ২ হাজার ৪০টি পরিবারের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, তাদের ব্যয়ও কমেছে ৬ দশমিক এক-চার শতাংশ।

Pop Ads

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়ার আগ পর্যন্ত দেশে বেকারত্বের হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এপ্রিল-জুলাই চার মাস লকডাউন থাকায় বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়ে ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ হয়েছিল। সেপ্টেম্বর মাসে ওই বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশে নেমে এসেছে। জরিপে উঠে আসে, করোনা পরিস্থিতিতে সবচে বেশি সংকটে পড়েছেন রিকশা-ভ্যানচালক ও দিনমজুররা; যা মোকাবিলায় সরকারি সহায়তা পেয়েছে ২১ শতাংশ পরিবার।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সহায়তা পাওয়া পরিবারের সংখ্যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়,মার্চে দেশে বেকারত্বের হার ২ দশমিক ৩ শতাংশ থাকলেও এপ্রিল থেকে জুলাইয়ে করোনা পরিস্থিতিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২২ দশমিক তিন-নয় ভাগ। তবে সেপ্টেম্বরে আবার তা কমে মোট বেকারত্বের হার হয়েছে ৩ দশমিক সাত-পাঁচ শতাংশ।