করোনা বিপর্যয়ের কারণে পর্যটনশিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা

সুপ্রভাত বগুড়া (প্রচ্ছদ): বর্তমানে সারাবিশ্বজুড়ে করোনার মহামারীতে চলছে লাশের মিছিল। জনজীবন তথা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে। অর্থনীতির প্রত্যেকটি শাখা প্রশাখায় এসে পড়েছে এর প্রভাব।

এই নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) পরিস্থিতির কারণে পর্যটন শিল্পেও নেমে এসেছে ভয়াবহ বিপর্যয়।

Pop Ads

ভরা মৌসুমেও পর্যটকশূন্য কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। আয় না থাকায় ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় পর্যটন ব্যবসয়ীরা।

কাজ হারিয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন হোটেল ও দোকানের কর্মীরা। ঈদের আনন্দে প্রতিবছর পর্যটকেরা ভিড় জমান কক্সবাজারে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে।

সেখানে এবার নেই কোনো আনন্দ আয়োজন করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় দেখা নেই পর্যটকের।

১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্রসৈকত ঘিরে গড়ে ওঠা শামুক ঝিনুক ও অন্যান্য বাহারি পণ্যের দোকানগুলো বন্ধ।

অলস সময় পার করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। লাবণী, কলাতলী সৈকতের মতো কক্সবাজারের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের চিত্রও একই।

দুই মাসের বেশি করোনা পরিস্থিতিতে বেহাল দশা সৈকত এলাকার ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের। এদিকে হিমশিম অবস্থা হোটেল ব্যবসায়ীদেরও।

শূন্য পড়ে রয়েছে জেলার সাড়ে চারশো হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউজ। এর মধ্যে কর্মচারী ছাঁটাই করেছেন অনেক মালিক।

বছরের দুই ঈদ এবং বিশেষ দিনে কক্সবাজারে ভ্রমণে আসেন প্রায় ১৫ লাখের বেশি পর্যটক।

এবার করোনার প্রভাবে পর্যটকশূন্য কক্সবাজারে ২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here