কালাই উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর ভোট  বর্জন

কালাই উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর ভোট  বর্জন। ছবি- রাসেল আহম্মেদ

সুপ্রভাত বগুড়া (এম রাসেল আহম্মেদ): কালাই পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপির প্রার্থী আনিছুর রহমান তালুকদার। শনিবার উপজেলা বিএনপির কার্যালয়েপ্রথম আলো জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম ও কারচুপি অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী আনিছুর রহমান তালুকদার।

আজ শনিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। আনিছুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে আমার এজেন্টেদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মুলগ্রাম পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই সুজাউল নামে আমার একজন এজেন্টকে প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকেরা লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে তাঁর নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন।

Pop Ads

তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’ আনিছুর রহমান তালুকদার আরও বলেন, ‘আমি প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি প্রতিটি বুথে গিয়ে দেখেছি,  আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্ট ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে তাঁরাই ভোট নিশ্চিতকরণ বাটনে চাপ দিচ্ছেন। প্রশাসন অবাধ-সুষ্ঠু ও নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেনি। এ কারণে ভোট বর্জন করেছি।’

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, বিএনপি প্রার্থীর কোনো জনপ্রিয়তা নেই। তিনি নিশ্চিত পরাজয় জেনে আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দাবি করে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের কথা শুনেছি।

তিনি আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। এর আগে শনিবার সকাল নয়টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে (ইভিএম) নয়টি ভোটকেন্দ্র একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। মেয়র পদে উপনির্বাচনে তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মামুনুর রশিদ। গত ৫ ফেব্রুয়ারি কালাই পৌরসভার মেয়র খন্দকার হালিমুল আলমের মৃত্যুর পর মেয়রের পদটি শূন্য হয়। ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়র পদের মেয়াদ ছিল।