সুপ্রভাত বগুড়া (রায়হানুল ইসলাম): বগুড়ার গাবতলীতে ৭১ লক্ষ টাকা পাওয়নার দায় থেকে বাঁচতে অন্যের উপর চুরির হয়রানীরমুলক মামলার প্রতিবাদে ও সুষ্ঠু তদন্তান্তের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সোনাতলার বালুয়াহাট ইউনিয়নের বামুনিয়া গ্রামের মো: সুজন মিয়ার স্ত্রী দুলালী বেগম। বুধবার বেলা ১১টায় বগুড়া প্রেস ক্লাবে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার স্বামী মো: সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে গাবতলী থানাধিন গাবতলী বাজাররস্থ রায়হান কমপ্লেক্সের ৩য় তলায় গ্রামীণ ফোনের ডিস্ট্রিবিউশন অফিসের ব্যবসায়ী পাটনার হাবিব রেজোয়ান পিতা : মৃত: একরাম হোসেন মৃধা, সাং-নিমারপাড়া, থানা: শিবগঞ্জ, জেলা-বগুড়া বাদি হয়ে গত ৩০ আগষ্ট ২০২০ ইং তারিখে গাবতলী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
যেখানে তিনি আমার স্বামীসহ ৪জনকে আসামী করে একটি মিথ্যা, বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেছেন। প্রকৃত সত্য হলো এই যে, আমার স্বামী মো: সুজন মিয়াকে ব্যবসায়ী পাটনার হাবিব রেজোয়ান নিজের রক্ষিত ৩টি চাবি মধ্যে কর্মচারী রনি মিয়ার কাছে থাকা ১টি চাবি রনিকে ছুটিতে পাঠিয়ে আমার স্বামী মো: সুজন মিয়াকে ২দিনের জন্য দেয়। এরপর প্রতি দিনের ন্যায় সুজন মিয়া অপর কর্মচারী জুনের সঙ্গে বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন।
পরে ২৯ আগষ্ট সকাল ৯ টায় অপর ব্যবসায়ী পার্টনার@ কর্মচারী আবু জাফর মোবাঈল ফোনে অফিস চুরির খবর জানায়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার স্বামী অফিসে এসে দেখেন অফিসের মেইন দরজা ভাঙ্গা। এসময় ব্যবসায়ী পাটনার হাবিব রেজোয়ানও উপস্থিত ছিলেন। আমার স্বামী এসয়ম ব্যবসায়ী পাটনার হাবিব রেজোয়ান কে প্রশ্ন করেন, অফিসের নিচতলার কেচি গেটের তালা ঠিক থাকলেও তৃতীয়তলায় কিভাবে হ্যাজবল কাটা হলো?
এসময় হাবিব কোন উত্তর দিতে পারেননি। অপরদিকে ২য়তলায় ব্যবসায়ী পাটনার হাবিব রেজোয়ান তার পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকলেও তিনি কিছুই জানেনা বলে জানালে আমার স্বামীর সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে ব্যবসায়ী পাটনার হাবিব রেজোয়ান-এর কথায় অসঙ্গতি থাকায় এবং আমাকে ১টি চাবি দেয়ার বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় আমার স্বামী তাকে চার্জ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছ্।
তিনি দাবি করেন, আমার স্বামী সুজন মিয়াকে দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ ১৮ লক্ষ ১৫ হাজার টাকায় গ্রামীণ ফোনের ডিস্ট্রিবিউশন অফিসের ব্যবসায়ী পাটনারের অংশীদারিত্ব গ্রহণ করেন। হাবিব রেজোয়ান একজন ধুর্ত ব্যক্তি হওয়ায় তিনি কালক্ষেপন করে লিখিত কোন দলিল না করে শুধুমাত্র ১টি চেকে ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অপর চেকে ৭ (সাত) লক্ষ টাকা করে সিটি ব্যাংকের ২টি চেক দেন।
বিভিন্ন সময় আমার স্বামী ব্যবসায়ী পার্টনারের অংশীদারিত্বের জন্য দলিল সম্পন্ন করার কথা বললে তিনি কালক্ষেপন করতে করতে তিন বছর অতিবাহিত করেছেন। একইভাবে ব্যবসায়ী পার্টনারের অংশীদারিত্ব দেয়ার নাম করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মোট একান্তর লক্ষ, বিশ হাজার টাকা গ্রহণ করে দেওলিয়া হয়েছেন। এগুলি থেকে বাঁচতে তিনি অপকৌশল করে আমার স্বামী সুজন মিয়াকে মামলায় জড়িয়েছেন। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ, প্রতারক হাবিব রেজোয়ানের কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায়সহ মিথ্যা মামলা দেয়ায় প্রশাসনের সুষ্টু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের জন্য সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।