সুপ্রভাত বগুড়া (আলমগীর ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি): মা-পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর শব্দ। যে মানুষটি আমাদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি স্বপ্ন দেখেন তিনি আমাদের মা। নিজের সব চাওয়া পাওয়াগুলোকে পাশ কাটিয়ে সন্তানের ভালোলাগাই যার কাছে সবকিছু।
সেই মাকে ঝুঁকিতে থাকতে দেখে কোনো সন্তানই নিশ্চুপ বসে থাকতে পারে না, তাই নৈঋতও পারেনি চুপটি করে বসে থাকতে। মায়ের সুরক্ষার জন্য পিপিই জোগাড় করে আজ ১৯ মে (মঙ্গলবার) সকালে তা চাকুরীজীবি মা শারমিন আফরিন জাহানকে প্রদান করে ঠাকুরগাঁও পৌরসভাধীন গোবিন্দনগর এলাকার বাসিন্দা এন্টুনি ডেভিড এর মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ফ্লোরেন্স ডেভিড নৈঋত।
নৈঋত জানায়, আমার মা ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বেসরকারী সংস্থা ব্রাক এর হিসাব রক্ষক পদে চাকুরী করেন। তার কাজের চাপে প্রতিনিয়ত বাসাতেও আসতে পারে না। তার উপর সংবাদ মাধ্যমে প্রায়ই বালিয়াডাঙ্গীতে করোনায় আক্রান্তের খবর শুনছি।
এজন্য মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে আমি ঠাকুরগাঁও অনলাইন প্রেসক্লাবের আহবায়ক বিধান চন্দ্র দাসকে আমার ইচ্ছার কথা জানাই। পরে তিনি আমার ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করতে আমাকে আমাকে একটি পিপিই প্রদান করেন, সেটিই আজ মায়ের হাতে তুলে দিলাম।
নৈঋত এর মা শারমিন আফরিন জাহান বলেন, আমার কন্যার এই উপহারে আমি ধণ্য। এইতো কিছুদিন আগেও যে মেয়ে আমার কাছে কিছু কেনার জন্য বায়না ধরতো, আজ সেই মেয়ে আমাকে আমার সুরক্ষা কথা চিন্তা করে পিপিই জোগাড় করে তা আবার আমাকে উপহার দিলো ।
প্রত্যেকটি মেয়ে ও মায়ের ভালোবাসা যেন এমনই থাকে সর্বদা।পিপিই’র বিষয়ে অনলাইন প্রেসক্লাবের আহবায়ক বিধান চন্দ্র দাস বলেন, নৈঋত আমার অফিসে এসে আমাকে জানায় যে, তার মা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বেসরকারী সংস্থা ব্রাক এর হিসাব রক্ষক পদে চাকুরী করেন এবং তার মায়ের সুরক্ষার জন্য তার একটি পিপিই প্রয়োজন।
আমি তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে তাকে একটি পিপিই প্রদান করেছি তার মাকে দেওয়ার জন্য।মা-মেয়ের এমন ভালোবাসা বেঁচে থাক চিরকাল।