স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছী গ্রামে বাঙালী নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদী ভাঙনের আশংকা প্রকাশ করে বালু উত্তোলবন্ধের দাবী জানিয়েছেন গ্রামবাসী। জানা যায়, নিমগাছী গ্রামের পূর্বপাড়া বাঙালী নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত। যার কারনে ওই পাড়ার অধিকাংশ স্থানে বাঙালী নদীর ভাঙনের আশংকায় থাকে গ্রামবাসী।
এরমধ্যে দীর্ঘদিন যাবত ওই পাড়ায় বাঙালী নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন চলছে। নান্দিয়ারপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুর ফকিরের ছেলে বালু ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান শ্যালো মেশিন বসিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে।
বালু উত্তোলনের কারনে নদী তীরের মানুষের মধ্যে ভাঙন আতংক বিরাজ করছে। এজন্য গ্রামবাসী বালু উত্তোলন বন্ধে গত ১ জুলাই ধুনট উপজেলা প্রশাসন বরাবর একটি লিখিত আদেন করেন। কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে গত ১৪ জুলাই বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য লিখিত আবেদন করেছেন।
নিমগাছী পূর্বপাড়া গ্রামের আমানউল্লা জানান, বাঙালী নদীর পরিবেষ্টিত নিমগাছী পূর্বপাড়া এলাকার মানুষ সব সময় নদী ভাঙনের আতংকে থাকে। এরমধ্যে নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের কারনে নদী ভাঙনের আশংকায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙন শুরু হলে নদী তীরের আবাদী জমি, ঘরবাড়ি বাঙালীতে বিলিন হয়ে যাবে।
একই গ্রামের মহসিন আলম বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য উপজেলা প্রশাসনের নিকট গত ১ জুলাই লিখিত আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় এবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
বালু ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান নিমগাছী পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে বালু উত্তোলনের তথ্য স্বীকার করেন। তবে তিনি দাবী করেন, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় বর্তমানে বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহি অফিসার সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে সকল অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।