নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানোই যেন মফস্বল সাংবাদিকদের মহৎ কাজ

নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানোই যেন মফস্বল সাংবাদিকদের মহৎ কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : একজন ন্যায়পরায়ন বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিক, যিনি সমাজের আয়না স্বরুপ। নিজের খেয়ে বনের মহিস তাড়ানোই যেন তার মহৎ কাজ। মফস্বল সাংবাদিক হলে তো আরো কঠিন ব্যাপার। এরা অফিস থেকে নামমাত্র ভাতা পায়, তবে আবার বহু মাস-বছর বকেয়া পরে।আবার বেশির ভাগ পত্রিকার অফিস ভাতা দেননা বিজ্ঞাপন থেকে যত টুকু কমিশন আসে তা দিয়ে চলতে হয় পাশা পাশি নিজ খরচে জেলা উপজেলাতে পত্রিকা আনতে হয় মফস্বল সাংবাদিকদের।

নিজের অভাব থাকলেও হাসিমুখে অন্যের অভাব পূরনের জন্য তিনি সদা সতর্ক। বেতন-ভাতার দিকে তার আকর্ষণ মামুলী। কিন্ত এই সমাজ দরদী শিক্ষিত মানুষটি তার কর্তব্য থেকে পিছপা হয় না। অনেকেই আগ্রহ নিয়ে এই পেশায় আসে, বাস্তবতা দেখে ছিটকে পড়ে অল্পদিনেই। প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, সংগঠন, সংস্থা ব্যক্তিবিশেষ সবাই মফস্বল সাংবাদিক মহোদয়কে ব্যবহার করেন। কিন্ত পারিশ্রমিক কী দেন? চাইলে হলুদ সাংবাদিকের তকমা দিতে সময় ক্ষেপন করেন না।

Pop Ads

করোনা ভাইরাসের বৈশিক সমস্যায় ন্যায়পরায়ন বস্তুনিষ্ঠ মফস্বল সাংবাদিকগন ঝুঁকি নিয়ে দায়ীত্ব পালন করেছেন। সে সময় ঢাকা সহ সারা দেশে অনেকেই আক্রান্ত, সেই সাথে অনেক পত্রিকা বন্দ হয়ে গেছে । সংবাদকর্মী দের ঘরে অভাবের তাড়না আর বাইরে সংবাদের তাড়না! এই দুইয়ের মাঝখানে তারা চ্যাপটা হচ্ছে। তাদের ঘরের খবর নিলে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, বউয়ের দেয়া বাজারের লিষ্টের পূর্নতা হয় না।

হ্যাঁ, তারা সবার খবর রাখলেও তাদের খবর কেউ রাখেনা। করোনায় সবাই পরাস্ত হয়েছে , তার মাঝে সাংবাদিকরাও বাদ নেই। এই নিম্ন মধ্যবিত্ত মিডিয়া সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো চরম অসহায় হলেও কেউ তো চুপিচুপি হাত বাড়াইনি! বলি একটু তাকান তবে ধান্ধাবাজ বাটপার অসৎ সাংবাদিকদের চাটুকারিতা থেকে সতর্ক থাকবেন !