পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে বিরাট গ্রহাণু। এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা– নাসা। এর আকার একটা মস্ত বিল্ডিংকেও হার মানাবে। নাসা জানিয়েছে, আজ রোববার এই বিশাল গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবে। টাইমস নাউয়ের প্রতিবেদনে জানা যায়, ধেয়ে আসা গ্রহাণুটির নাম অ্যাস্ট্রয়েড ১৯৯৮ ডব্লিউবি টু। যার আয়তন ৪৭০ ফুট। অর্থাৎ এটি একটি বড় ভবনের মতো বড়।
এই গ্রহাণু ঘণ্টায় ৫১ হাজার ১১৬ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই গ্রহাণুটি ৩ ডিসেম্বর পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে। শুধুই অ্যাস্ট্রয়েড ১৯৯৮ ডব্লিউবি টু নয়, নাসা আরেকটি গ্রহাণু আসার বিষয়েও জানিয়েছে। ২০১৩ ভিএক্স ফোর নামের গ্রহাণুটি ১৯৯৮ ডব্লিউবি টু-এর একদিন পর ৪ ডিসেম্বর পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসবে।
এটির উচ্চতা ১৯০ ফুট। এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসবে, প্রায় ১২ লাখ ২০ হাজার মাইল। সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজের মতে, গ্রহাণুটি ঘণ্টায় ২৩ হাজার ৫৬৭ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে। নাসা জানিয়েছে, এই বিশালাকার গ্রহাণুটি পৃথিবীর ওপর বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না।
গ্রহাণু বা অ্যাস্টেরয়েড হলো মূলত পাথর দ্বারা গঠিত বস্তু, যা সূর্যের চারপাশে গ্রহের মতো ঘোরে। এরা গ্রহের তুলনায় আকারে অনেক ছোট হয়। অধিকাংশ গ্রহাণু মঙ্গল ও বৃহস্পতির কক্ষপথে পাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্যান্য গ্রহের কক্ষপথেও এরা একইভাবে ঘুরতে থাকে।
গ্রহাণু হলো গ্যাস এবং ধূলিকণার মেঘের অবশেষ। গ্রহাণু নির্দিষ্ট জায়গায় থাকে না। এদিক ওদিক ঘুরে বেরায়। আর পক্ষপথ থেকে বেরিয়ে গেলে তারা পৃথিবীর দিকে আসতে থাকে। গবেষকদের মতে, একটি গ্রহাণুর সঠিক গতিপথ নির্ণয় করা খুব সহজ কাজ নয় এমনকি আজকের এই অত্যাধুনিক ডিজিটাল যুগেও না। ফলে গ্রহাণুর ভবিষ্যৎ গতিপথ সম্বন্ধে একটা অনিশ্চয়তা রয়েই যায়।