বকসিপুর গ্রামে দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে  শ্লীতহানীর শিকার ১ তরুনী 

বকসিপুর গ্রামে দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে শ্লীতহানীর শিকার ১ তরুনী। প্রতিকী ছবি-রাসেল
সুপ্রভাত বগুড়া (রাসেল আহাম্মেদ,ঝিনাইদহ): ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের বকসিপুর গ্রামে গত বুধবার  দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে  এসে ধর্ষন চেষ্টার শিকার হয়েছে ১৩ বছরের  এক কিশোরী। এবং ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সাগান্না ইউনিয়নের  বকসিপুর গ্রামের মৃতঃ শামছুল হক মোল্লার ছেলে লম্পট মানোয়ার মিয়ার (৪০)বিরুদ্ধে,।
জানা গেছে গত বুধবার  দুপুর ১২ টার দিকে বেড়াতে আসা জিয়াউর রহমানের শালিকা রাবিয়া খাতুন (১৩) তার বোনের সাথে দুলা ভাইয়ের পান বরজে যায় , জমিতে কাজ ছিল তাই রাবিয়ার বোন তাকে বাড়ি ফিরতে বলে, সে বাড়ি ফিরতে কিছু দুর সামনে লম্পট মানোয়ার তার নিজ জমিতে কাজ করছিল ঠিক তখনই কিশোরী রাবিয়া কে ডেকে বলে আমাকে একটু পানি এনে দেও, রাবিয়া প্রথমে একটু সংকচ বোধ করলেও পরে তাকে দুই-তিন বার বলার পর সে তার বোনের কাছে যেয়ে জেয়ে পানি নিয়ে আসে,  সেখান থেকে পানি নিয়ে বেশ কিছুদূর যায় মানোয়ার মিয়ার কাছে।
আগে থেকে কুমতলবে থাকা লম্পট মানোয়ার মিয়া পানি হাতে দিতে তাকে জরিয়ে ধরে এবং তাকে ধর্ষন করার চেষ্টা করে মেয়েটি সাথে সাথে চিৎকার করলে ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে যায় লম্পট মানোয়ার মিয়া, পরে সেখান থেকে রাবিয়া খাতুন (১৩) বাড়ি ফিরে গেলে তার বোন এবং দুলাভাই বাড়িতে গেলে ঘটনার বিবরণ বলতেই, তার বোন এবং তার দুলাভাই জিয়াউর রহমান তাকে বলে এই ঘটনা জেনো কেউ না জানে এমনকি তার বোন দুলাভাই রাবিয়ার প্রতি রাগ ও হয়, জাতে ঘটনা কোন ভাবেই কেউ না জানে।
এবং দুলাভাই জিয়াউর বলেন বিষয়টি আমি দেখছি,কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে  দুলাভাই ঘটনা কি দেখবে উল্টো  লম্পট মানোয়ারের পক্ষ নিয়ে ভিডিও করে সেখানে সে বলে এই ঘটনা মিথ্যা আমাদেরকে হ্যায়পতিপন্ন করার জন্য এবং  সমাজে  আমাদের সুনাম নষ্ট করার জন্য মানুষ এমন করছে, এমন ঘটনায়  Bidrohee.com অনলাইন নিউজ পোর্টালে  নিউজটি পাব্লিসট হলে তিনি সেই নিউজ দেখে উল্টো সাংবাদিক দের বিরুদ্ধে  মানহানি মামলা করবে বলে জানায়।
ঘটনার অনুসন্ধানে সত্যতা যাচাই করতে রাবিয়া খাতুনের বাড়িতে গেলে ঘটনা বিবরণ জানা যায় যে, সেদিন সত্যিই লম্পট মানোয়ার মিয়া তাকে ধর্ষন চেষ্টা করে কিন্ত আল্লাহর রহমতে সে ওই লম্পটের হাত থেকে রক্ষা পায়, সে বোন দুলাভাই কে ঘটনার সম্পর্কে  বললে তারা বিচার করবে বলে তাকে সান্ত্বনা দেয় কিন্ত তার দুলাভাই উল্টো অভিযুক্ত লম্পট মানোয়ার মিয়ার পক্ষে অবস্থান করায়  কষ্ট পেয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে হয় তাকে।
কাবাশাটিয়া ইউনিয়নের রুপদা গ্রামের হত-দরিদ্র ভ্যান চালকের মেয়ে রাবিয়া খাতুন, রাবিয়ার মা রেখা খাতুন এবং তার ভাই হাসান মিয়া বলেন হত-দরিদ্র মানুষ আমরা সরকার ও প্রশাসনের  কাছে ওই লম্পট মানোয়ারের বিচার দাবি করছি যেনো লম্পট মানোয়ার মিয়া আমার মেয়ের মতো  আর কোন মেয়ের সাথে এমন কাজ না করতে পারে। এ বিষয়  জানতে অভিযুক্ত মানোয়ার মিয়া বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায় না এমনকি তার আত্বীয় স্বজনের কাছে তার মোবাইল নাম্বার চাইলে বলে উনার ফোন নাই এমনকি তার নাম বলতেও চাইনি তার ভাতিজা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here