বগুড়ায় বাড়ছে করোনা রোগী, তথাপি জনসচেতনতা শুণ্যে ; আবারও ভয়াবহতার আশংকা !

বগুড়ায় বাড়ছে করোনা রোগী, তথাপি জনসচেতনতা শুণ্যে ; আবারও ভয়াবহতার আশংকা ! ছবি-ওহাব

সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রদিনিধি): করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে বগুড়া জেলায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৪৫ জনে দাড়িয়েছে। আর গত এক মাসে মারাগেছে ৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮১২ জন। আর এ পর্যন্ত শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৬ হাজার ২৬২। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানাযায়।

এভাবে দিনে দিনে করোনা রোগী বাড়লেও জনসচেতনতা শুন্যের কোঠায় দাড়িয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত শুক্রবার এক দিনেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু তাই নয়, জেলার হাসপাতালোতে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আরও জানাযায়, গত রোববার জেলার তিন হাসপাতালে ২১৮ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন ছিল।

Pop Ads

জুলাই মাসের শেষ দিকে এই সংখ্যা ছিল ১০০ জনের কিছু ওপরে। বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, জেলায় প্রথম কোভিড রোগী শনাক্ত হয় ১ এপ্রিল। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে জেলায় প্রথম ২২ মে মারা যান সরকারি দলের সাবেক সাংসদ কামরুন নাহার পুতুল। এরপর ক্রমেই বাড়তে থাকে করোনা রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা। জুন ও জুলাই মাসে করোনায় মারা গেছেন ১০৪ জন।

আগস্ট মাসের ২২ দিনে করোনায় মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যা ৪৫। আর করোনা উপসর্গ নিয়ে জেলায় মারা গেছেন এখন পর্যন্ত শতাধিক রোগী। কোভিডে মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬০, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৭, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৩৪ ও অন্যান্য হাসপাতালে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

জানাগেছে, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বর্তমানে রোগী আছেন ৭২ জন। আগস্টের প্রথম দিকে করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিল ৩০ জন। অন্যদিকে ২২ মে থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মোট ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এ পর্যন্ত ৪৭ জন মারা গেছে। বর্তমানে ভর্তি রয়েছে ৯৫ জন। জুলাইয়ের শেষের দিকে হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিল ৮৭ জন।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শফিক আমিন বলেন, ১২৮ শয্যাবিশিষ্ট করোনা ইউনিটে গতকাল পর্যন্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন ৫১ জন। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ৩২।

এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত এই হাসপাতালে কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত সাত শতাধিক রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেলায় করোনার সংক্রমণ প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। তবে ঈদের কারণে সংক্রমণ সামান্য বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, অক্সিজেন সরবরাহ সহ কোভিড চিকিৎসার সুবিধা বাড়ার কারণে হাসপাতালে রোগী বেড়েছে। আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের বগুড়ায় বেশি করে রেফার্ড করা হচ্ছে। ফলে মৃত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here