বড়দিনকে সামনে রেখে করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত জার্মান সরকারের

বড়দিনকে সামনে রেখে করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত জার্মান সরকারের

সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক): করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়ানোর পর কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান সরকার। আগামী বুধবার থেকে দেশটিতে স্কুল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া বাকি সব দোকান বন্ধ থাকবে।

নতুন এই লকডাউন ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল বলেছেন, ক্রিসমাসের কেনাকাটার সময় একে অপরের সংস্পর্শে আসায় ভাইরাসে সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এ কারণে একটা পদক্ষেপ নেয়ে জরুরি ছিল।

Pop Ads

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির ১৬টি স্টেটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জার্মানিতে আরও ২০ হাজার ২শ’ জন সংক্রমিত হয়েছেন এবং ৩২১ জন মারা গেছেন।

এর আগে করোনার কারণে গত নভেম্বর থেকে রেস্টুরেন্ট, বার এবং অবকাশ কেন্দ্রগুলো বন্ধ আছে এবং কিছু এলাকাও আগে থেকেই লকডাউন অবস্থায় রয়েছে। নতুন করে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা হলেও খাবারের দোকান, ব্যাংক এবং ক্রিস্টমাস ট্রি-র দোকান খোলা থাকবে।

তবে চুল কাটার সেলুন অবশ্যই বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে, তারা যাতে করে তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ করে দেয়। এ ছাড়া কেয়ার হোমগুলোতে করোনাভাইরাস টেস্ট করতে দেওয়া হবে।

নববর্ষ পালনে বিধিনিষেধ সমূহ : শুধু বড়দিন নয়, নতুন বছর ২০২১ কে বরণ করে নেওয়ার জন্য যে বিশাল আয়োজন করা হয়, সেখানে থাকছে নানা বিধি নিষেধ। আতশবাজি বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জনসমাগম স্থলে মদ্যপান করা নিষেধ করা হয়েছে। দেশটির অর্থমন্ত্রী বলেছেন, যেসব ব্যবসা খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদেরকে প্রতিমাসে সরকার থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ইউরো সাহায্য করা হবে।

এ ছাড়া এক বাসায় দুই পরিবার থেকে পাঁচজনের বেশি জমায়েত হতে পারবে না। তবে ২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বর এই নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। তখন একটি বাসায় অন্য একটি বাসা থেকে সর্বোচ্চ চারজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কে আমন্ত্রণ জানানো যাবে। জার্মানির দ্বিতীয় জনবহুল এলাকা বাভারিয়াতে রাতের বেলা কারফিউ চলবে, কারণ এখানে সংক্রমিত হওয়ার হার অনেক বেশি।