বাংলাদেশের অন্য জেলা উপজেলার মতই ঢাকা ধামরাই উপজেলায় দিন বেড়েই চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা

বাংলাদেশের অন্য জেলা উপজেলার মতই ঢাকা ধামরাই উপজেলায় দিন বেড়েই চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। ছবি-মিজানুর রহমান

সুপ্রভাত বগুড়া (মিজানুর রহমান (ধামরাই) ঢাকা (প্রতিনিধি) : ঢাকা ধামরাই উপজেলার সব জেলা-উপজেলার মতনই আমাদের ঢাকা ধামরাই দিন যাচ্ছে করুনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে কেননা আমাদের এখানে শিল্পনগরী এবং গার্মেন্টস কলকারখানায় জন্য বিশাল মানুষের সমাগম হয়ে থাকে সব থেকে বেশি গার্মেন্টসের রোগীদেরএদের নীতিমালায় না থাকার কারণে আজ হুমকির মুখে।

সবথেকে ধামরাইয়ের কল-কারখানাগুলো এগুলো সব সময় চাপ থাকে এবং দূরত্ব বজায় না রাখার কারণে আজ দিন দিন বাড়ছে কোন রোগীর সংখ্যা কেননা গার্মেন্টস কল-কারখানাগুলো সেরকম নিরাপত্তা জোরদার না দেয়ার কারণে আজ হুমকির মুখে সব থেকে বেশি গার্মেন্টগুলোর এবং এরা যদি নীতিমালা না চলে সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী দিন যাবে লাফিয়ে লাফিয়ে করুণা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাবে।

Pop Ads

কেননা এরা সব সময় দূরত্ব না রাখে এবং গাড়িগুলো উঠে একদম গাদাগাদি চিপাচিপি করে কেননা সকাল হলে এবং সন্ধ্যা হলে কেননা এরা গার্মেন্টসে যাওয়ার লক্ষ্যে কোনো নীতিমালা মানছে না কেননা সাধারন মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়ে যাচ্ছে দিন
যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করা হয় কিংবা সামাজিক দূরত্বের প্রতি জোর দেওয়া না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

মানুষ বাহিরে এবং বাজারে নিয়ম না মেনে চলাচল করছে এদের কারনেই করোনার ঝুঁকি বাড়ছে। অনেকেই ধারণা করছেন মানুষ যদি শারীরিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলে তাহলে আগামী এক সপ্তাহে ধামরাই উপজেলা আরও খারাপের দিকে যাবে।সোশ্যাল ট্রান্সমিশন হয়ে থাকলে আগামী সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে পারে।

এ কারণে শ্রমিকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও সাধারণ জনগণের চলাচলে সামাজিক দূরত্ব গুরুত্বপূর্ন। এ বিষয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে প্রতিটি গ্রামে আক্রান্তের মিছিল রোধ করা যাবে না। এ পর্যন্ত ধামরাই পৌরসভা সহ  ধামরাই উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নে করোনা সংক্রমণ ধরা পরেছে এবং তা বেড়েই চলেছে।

করোনা ভাইরাস নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সামিউল হক বলেন, আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলে। তারপরে কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে এখন চিন্তায় আছি ধামরাই একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা যদি কারখানার শ্রমিকদের মাঝে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে তাহলে আর এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নূর রিফফাত আরা বলেন, এ পর্যন্ত ধামরাইয়ে ১৩৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তার মধ্যে ২২৯ জন আক্রান্ত হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছে ৩৩ জন, সর্বমোট ২৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছে, সর্বমোট ০২ জন মারা গেছে।

আমি মনে করি মানুষ কোনো ভাবেই করোনা ভাইরাস থেকে বাচতে পারবে না যতক্ষণ না তারা সরকারি স্বাস্থ্যবিধী মেনে না চলবে। এখন ধামরাই বাসীর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা,কারো সাথে হাত না মেলানো, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত মুখ পরিষ্কার করা, মাক্স পড়া ,বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া এসব কিছুই নিজ দায়িত্বে মেনে চলা উচিত বলে মনে করি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here