বাজেটে বরাদ্দ কমলো মেগা প্রকল্পে

বাজেটে বরাদ্দ কমলো মেগা প্রকল্পে

করোনা পরবর্তী সময়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়ে ২০২২–২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা কমছে বড় ও অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ। ফাস্ট ট্র্যাকের আট প্রকল্পে সব মিলিয়ে নতুন অর্থবছরে সরকার খরচ করবে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরে এ প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) সংসদে দেয়া অর্থমন্ত্রীর বাজেট উপস্থাপনা অনুযায়ী, পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হওয়ায় বরাদ্দ কমেছে অগ্রাধিকার প্রকল্পে। প্রতি অর্থ বছরে বাজেটেই সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বড় অংশজুড়ে থাকে নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন আর বাস্তবায়নের দিক নির্দেশনা।

Pop Ads

কিন্তু কোভিডের ধাক্কায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি সামলাতে বহু কাটছাট করতে হয়েছে সরকারের নীতি পরিকল্পনায়। যদিও এর মধ্যেও অব্যাহত ছিল ফাস্ট ট্র্যাকের আট মেগা প্রকল্পে অর্থায়ন। কিন্তু আসছে অর্থবছরের বাজেটে বড় প্রকল্পে বরাদ্দ কমাতে যাচ্ছে সরকার। ১ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা কমিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দেয়া হচ্ছে ১৩ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। ১ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা কমিয়ে মেট্রোরেলে থাকছে ২ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা।

পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষ হলেও সেতুর রেলপথ অংশে বরাদ্দ থাকছে ২ হাজার ২০২ কোটি টাকা। আর ২৫০ কোটি টাকা কমিয়ে পায়রা বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে দেয়া হচ্ছে ২৮৬ কোটি টাকা।সংসদে দেয়া বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মনে করেন, এই মুহূর্তে কোভিড পরবর্তী ধাক্কা সামলানোই বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি, পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নের কারণেও কমছে বড় প্রকল্পের বরাদ্দ।

তবে বিশ্ব অর্থনীতির মতো দেশেও চলমান সংকট মোকাবিলায় অহেতুক ব্যয় বন্ধের সঙ্গে অর্থ সাশ্রয়ের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।অর্থনীতিবিদ ড. হেলালউদ্দিন বলেন, বড় বড় প্রকল্পে যদি আমরা আরও সাশ্রয়ী হতে পারতাম, তবে সঞ্চয় করতে পারতাম। এতে একই অঙ্কের টাকা দিয়ে আরও প্রকল্প হাতে নেয়া যেত।

যদিও নতুন বাজেটে এডিপিভুক্ত সাত প্রকল্পের মধ্যে পাঁচটির বরাদ্দ কমলেও ৫০০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের বরাদ্দ আর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পে বেড়েছে ৫১৭ কোটি টাকা। বেড়েছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বরাদ্দও। আসছে অর্থবছরে ঘুমধুম রেলপথে দেয়া হচ্ছে ১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা, আর মাতারবাড়িতে সরকার খরচ করবে ৬ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।