বিনিয়োগের আগেই জানতে হবে বিট কয়েন সম্পর্কে

বিনিয়োগের আগেই জানতে হবে বিট কয়েন সম্পর্কে।

সুপ্রভাত বগুড়া (অর্থ ও বাণিজ্য): গেল সপ্তাহে শীর্ষ কোটিপতি এলন মাস্কের ইলেক্ট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা জানায়, খুব শিগগিরই গাড়ির ব্যবসা পরিচালনায় বিটকয়েন ব্যবহার করা হবে। এরমধ্যে দেড়শ’ কোটি ডলারের ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন কিনেছেন এলন মাস্ক। ধীরে ধীরে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে মূলধারায় আসতে শুরু করেছে ভার্চুয়াল কারেন্সি বিটকয়েন।

অ্যাপভিত্তিক গাড়ি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান উবার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাস্টারকার্ড জানায়, তারাও বিটকয়েনে কার্যক্রম শুরু করছে। যুক্তরাষ্ট্রের পুরনো ব্যাংক বিএনওয়াই মেলন কর্তৃপক্ষ বলছে, ডিজিটাল কারেন্সিতে লেনদেনের বিষয়ে ভাবছেন তারাও। যদি কেউ এতদিন বিটকয়েনকে অগ্রাহ্য করে থাকেন, তাহলে এবার বিটকয়েনে লেনদেনে আগ্রহ প্রকাশের সময় এসে গেছে।

Pop Ads

বিটকয়েন কি?
২০০৯ সালে জাপানের নাগরিক সাতোশি নাকামতো এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন সৃষ্টি করেন। কোনো মধ্যস্বত্বভোগী নেই এই ভার্চুয়াল কারেন্সির লেনদেনে। বিটকয়েন আপনি হাতে ব্যবহার করতে পারবেন না। কারণ এটি ডিজিটাল কারেন্সি। এই কারেন্সির লেনদেন কোনো ব্যাংক বা সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই।

তবে অনলাইন লেনদেন প্লাটফর্ম পেপালের মাধ্যমে লেনদেন করা যায় বিটকয়েন। অনেকেই এথন বিটকয়েনকে বিনিয়োগের অন্যতম মাধ্যম বিবেচনা করছেন, যে কারণে চলতি সপ্তাহে এক বিটকয়েনের দাম হয়েছে সর্বোচ্চ ৪৯ হাজার ডলার।

কোথা থেকে কিনবেন বিটকয়েন?
বিটকয়েন শতভাগ ডিজিটাল। বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ মার্কেটপ্লেস থেকে বিটকয়েন কেনাবেচা করা যায় নিজেদের দেশীয় মুদ্রা বা ডলার বিনিময় করে। এরমধ্যে কয়েনবেজ বিটকয়েনের শীর্ষ এক্সচেঞ্জ প্লাটফর্ম, আছে কয়েনমামা, সিইএক্স.আইও এবং জেমিনি।

বিটকয়েন কোথায় রাখবেন?
বিটকয়েন ডিজিটাল ওয়ালেটে সংরক্ষণ করা যাবে। যেটা কোনো ক্লাউড অ্যাকাউন্ট বা কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারবেন। এটি একটি ভার্চুয়াল অ্যাকাউন্ট পরিচালনার মতো।

কিন্তু ব্যাংকের আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থায় যেমন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ আর নিরাপত্তা থাকে, ভার্চুয়াল অ্যাকাউন্টে সেই নিরাপত্তা পাওয়া যাবে না। তাই অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।

বিটকয়েন কি নিরাপদ?
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের বিনিয়োগ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। উদাহরণে বলা যায়, জানুয়ারিতে ১ বিটকয়েনের দাম ছিলো ৪০ হাজার ডলার। এরপর নেমে যায় ৩০ হাজার ডলারে। এরপর আবার ৪০ হাজার ডলারে পৌঁছায়। সব উত্থান-পতনই ঘটে কয়েক সপ্তাহে।

ডিজিটাল কারেন্সি অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। হ্যাকার যদি সার্ভার হ্যাক করার চেষ্টা করে, কোনো ফাইল মুছে ফেলে কিংবা পাসওয়ার্ড ভুলে যায় কেউ অ্যাকাউন্টের, তার মানে এই অর্থ আর অ্যাকাউন্ট চিরতরে হারিয়েছে গ্রাহক।