আমাদের দেশে নারকেল তেল শুধু চুলেই ব্যবহার করা হয়। রান্নার কাজে তেমন ব্যবহার করা হয় না বললেই চলে। কিন্তু রান্নায় নারকেল তেল ব্যবহার করলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে যাওয়া এবং হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ অনেক উপকারিতা পেতে পারেন।
চুলের যতেœ নারকেল তেলের অসাধারণ ব্যবহার যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এই তেলটির উপকারিতার কথা কারোরই অজানা নয়। এটি যেমন চুলের যতেœ ব্যবহৃত হয়, তেমনি এর আরো অনেক গুণ রয়েছে।
ওজন কমায় :অতিরিক্ত ওজনের কারণে যদি চিন্তায় থাকেন, তাহলে নারকেল তেল খেতে ভুলবেন না। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদনটিতে থাকা উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড পেটে এবং শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদকে ঝরিয়ে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে এই তেল শরীরের মেটাবলিক রেটকে বাড়িয়ে দেয় যা আপনার ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও কমে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় :শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নারিকেল তেল বেশ উপকারী। কারণ এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল লিপিড, ল্যারিক অ্যাসিড, ক্যাপরিক অ্যাসিড এবং ক্যাপরাইলিক অ্যাসিড শরীরে প্রবেশ করার পর ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করে তোলে। যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।
হজম ক্ষমতা বাড়ায় :গবেষণায় দেখা গেছে, হজম ক্ষমতার বৃদ্ধিতে নারকেল তেলের কোনও বিকল্প হয় না। আসলে এই তেলটির ভেতরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান একদিকে যেমন পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, তেমনি বিভিন্ন ধরনের পেটের রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি
দাঁতের সুরক্ষায় ক্যালকিউমিন নামক একটি উপাদান বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই উপাদানটি যাতে ঠিক মতো শরীর দ্বারা শোষিত হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে নারকেল তেল। এই কারণে নারকেল তেল খাওয়া শুরু করলে দাঁতের কোনও ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
শরীরের সার্বিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
নারকেলে তেলের মধ্যে থাকা মিডিয়াম চেন ট্রাইগ্লিসারাইড এবং ফ্যাটি অ্যাসিড লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে কিডনি এবং প্যানক্রিয়াসে যাতে কোনও ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে।