সুপ্রভাত বগুড়া (আবু সাঈদ হেলাল): বগুড়া শেরপুর উপজেলার কয়েরখালি হাটের জায়গা প্রভাবশালী মহল দারা দখলে অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রাংন্ত অভিযোগ বগুড়া জেলা প্রশাসক ছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে। এছাড়াও উক্ত অভিযোগে কয়েরখালী সরকারী হাট/বাজার এর পেরিফেরি কৃত ম্যাপ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ এবং অবৈধ দখলদার ও ছাপনা উচ্ছেদ করিয়া সরকারী সম্পদ রক্ষারও আবেদন জানানো হয়েছে। হাটের ইজারাদার নাজির হোসেন অভিযোগে বলেন তিনি গত বাংলা ১লা বৈশাখ ১৪২৭ সন মোতাবেক ইংরেজী ১৪/০৪/২০২০ তারিখে হাটটি ইজারা নেন।
পরবর্তীতে উক্ত সরকারী হাট/বাজার পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি় দেখতে পান খানপুর গ্রামের করিম বক্্েরর পুত্রদয় বাদশা মিয়া ও লুত্যর মিয়া, সরকারী হাটের মাঝে চার পাশের গোড়া পাকা করে প্রায় ২০ (বিশ) হাত লম্বা অবৈধ ঘর স্থাপন করছে। বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে জানালে ঐ অবৈধ ভাবে ঘর স্থাপনের সকল কর্মকান্ড বন্ধ রাখার জন্য বারবার নিদের্শ প্রদান করেন। কিন্তু তারা এই আদেশ/ নির্দেশ অমান্য করে কোন ধরণের কর্ণপাত না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত, বিএনপি’র লোক হওয়ায় দলবলভারি করে অবৈধ ভাবে জোর পূর্বক ঘর স্থাপন করেছেন।
এছাড়াও আবুল কাশেম ,ছবের আলী, ফরহাদ হোসেন, সোবাহান, মেরাজ আকন্দ, মোস্তফা (মোস্তা), ফারুক হোসেন, আরিফ ,রহমত আলী, শফি সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সহ পেরিফেরী কৃত “সরকারী হাট/বাজার এর জায়গায় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও স্বার্থ লোভী,উশৃংখলকারী ব্যক্তিরা, সরকারী সম্পদ আত্মসাৎকারী ব্যক্তিরা, যার যার মত করে সরকারী আদেশ-নির্দেশ অমান্য করে নিজ ক্ষমতার বলে এক বা একাধিক কাঁচা পাকা ঘর-দরজা ইমারত সহ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকরে জবর দখল করে রেখেছেন।”
তার মধ্যে কিছু দোকান চলমান, কিছু দোকান বন্ধ/পরিত্যাক্ত এবং কিছু দোকানদারগণ নিজে মালিক সেজে অন্যত্র ক্রয়-বিক্রয় ও ভাড়া দিয়া সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করছেন। অথচ যারা ব্যবসা করতে চায় এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ঘর করার জন্য জায়গা দেওয়ার মত পরিস্থিতি নাই। তাই হাট/বাজার পরিচালনার ক্ষেত্রে নানা রকম সমস্যা, বাধার সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনসাধারণের নিকট বিরম্বনা ও জবাবদিহিতার মুখে পডতে হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই জন্য অতিদ্রæত ঐ সরকারী হাট-বাজারের প্রকৃত সম্পত্তি অবৈধ দখলদার গণের নিকট হতে উদ্ধারপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা এবং পেরিফেরি কৃত ম্যাপ অনুযায়ী হাটের সীমানা নির্ধারণ করা একান্ত জরুরী প্রয়োজন বলে মনে করছেন হাটের ইজারাদার সহ ভুক্তভুগী মহল। তা না হলে সরকারী হাট-বাজার ধংসের মুখে পরবে” সেই সাথে সরকারী ইজারাদারগণ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ’র মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে