শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে দেশের বিভিন্ন জেলার কোরবানির পশুর হাট। পুরোদমে চলছে গরু-ছাগল কেনা-বেচা। পছন্দের পশু কিনতে এক হাট থেকে আরেক হাটে ছুটে বেড়াচ্ছেন ক্রেতারা। শুরুর দিকে পশুর দাম চড়া থাকলেও শেষ দিনে তা কমতে শুরু করেছে। তবে, চাহিদা মতো দাম না পাওয়ায় গরু বিক্রি করছেন না অনেক বিক্রেতা।

দিনভর এমন হাকডাকে জমজমাট চট্টগ্রামের পশুর হাট। শেষ মুহুর্তে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে পশু কিনতে এক হাট থেকে আরেক হাট চষে বেড়াচ্ছেন ক্রেতারা। চলছে দর কষাকষি। শেষ মুহুর্তে পশুর দাম কিছুটা কমিয়েছেন বিক্রেতারা।

Pop Ads

কানায় কানায় পূর্ণ রাজশাহী নগরীর ২টিসহ জেলার মোট ২৬টি পশুর হাট। শেষ মুহুর্তে পশুর দাম কিছুটা কম বলছেন বিক্রেতারা। ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম খুলনার হাটগুলোও। কম দামের গরুর বিক্রি বেশি হচ্ছে বলছেন বিক্রেতারা। বিপাকে পড়েছেন হাটে বড় গরু নিয়ে আসা বিক্রেতারা।

মাদারীপুরের ৫ উপজেলায় ছোট-বড় শতাধিক স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুরহাট বসেছে। সকাল থেকেই হাটগুলোতে ক্রেতাদের ভীড়। তবে এবার ছাগলের থেকে গরুর চাহিদা বেশি। হবিগঞ্জের ১৪টি স্থায়ী ও ৪১টি অস্থায়ী হাটে গরুর দাম গত ২ দিনের তুলনায় কম।

এদিকে, ভোলায় গরুর হাটে বেচাকেনা কম। ১ লাখ ৩ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত থাকলেও বিক্রি হয়েছে অর্ধেক। হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের ফলে বিক্রি কম, বলছেন বিক্রেতারা। হাটগুলোতে জাল টাকা শনাক্তে ব্যাংকের বুথ করার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা ও দাম বেশি। উল্টো পরিস্থিতি বড় গরুর ক্ষেত্রে। বেশির ভাগ বড় গরুর মালিক পাচ্ছেন না কাঙ্খিত দাম। লোকসানের আশঙ্কায় পড়েছেন তারা। দাম কমিয়েও ক্রেতা পাচ্ছেন না অনেকে।

কিশোরগঞ্জ থেকে রাজধানীর আফতাবনগরের হাটে এই ষাঁড়টি এনেছেন রুবেল মিয়া। কালো মানিক নামের এই ষাঁড়টির ওজন ১৫শ কেজি। দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। তবে, ৬-৭ লাখ টাকার বেশি বলছেন না ক্রেতারা।

রাজাবাবুর নামে এই গরুটির মালিকও বেশ বিপাকে। শুরু দাম হেঁকেছিলেন ৪ লাখ টাকা। এখন দুই লাখ টাকার বেশি বলছেন না কেউ। বড় গরুর ক্রেতা কম হলেও ছোটো ও মাঝারি গরুর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন। এসব গরুর চাহিদাও বেশি দামও বেশ চড়া।

এদিকে, ঈদের আগের দিনও রাজধানীর হাটগুলোয় ঢুকছে কোরবানীর পশু। এরপরও কোরবানীর পশুর সংকট ও দাম বেশির অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে বিক্রেতারা দাবি, এখনও অনেক গরু অবিক্রিত রয়ে গেছে। ক্রেতা কম দাম বলায় বিক্রি করতে পারছেন না তারা। হাটগুলোয় ছোটো ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। এতে বিপাকে পড়েছেন বড় গরুর মালিকরা। ক্রেতা না পেলে কোরবানীর পশু ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলেও জানান তারা।