সারিয়াকান্দিতে বিয়ে করে বউ রেখে চম্পট দিয়েছেন যুবক, বিপাকে অসহায় যুবতী !

সারিয়াকান্দিতে বিয়ে করে বউ রেখে চম্পট দিয়েছেন যুবক, বিপাকে অসহায় যুবতী ! ছবি-আকাশ

সুপ্রভাত বগুড়া (আকাশ সরকার রাসেল): বিয়ের ৮ মাস পরে বউ রেখে চম্পট দিয়েছেন এক যুবক। সংসার করতে অসম্মতি জানানোই বিপাকে পরেছেন এক যুবতি। জানা যায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের বিবির পাড়া গ্রামের সানোয়ার মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া(২৩) ২০১৬ সালে একই প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে জনৈক হযরত আলীর কন্যা মায়ার আক্তার-১৯ (ছদ্মনাম ) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়েতুলে ।

পরে মিলনের পরিবারের সম্মতি না থাকা ও নিজ পরিবারের অভাবের  তারনায় এবং অসুস্থ্য বাবার চিকিৎসা সহ পরিবারের হাল ধরতে ভালোবাসা ছেড়ে ছোট বোন কে নিয়ে ঢাকায় গিয়ে চাকরি নেন মায়া। তার দির্ঘদিন পর ২০১৯ সালে ঢাকায় গিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে আবারো মায়াকে আশ্বাস দিয়ে ৪ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্যকরে আইন সম্মত ভাবে মায়া কে বিয়ে করেন মিলন মিয়া।

Pop Ads

এই ব্যাপারে মিলন তার পরিবার কে কিছু না জানাতে অনুরোধ করেন মায়া কে। দির্ঘদিন সংসার করে বিয়ের প্রায় ৭ মাস পরে পরিবারের চাপে ঐ যুবতি কে ঢাকায় ফেলে রেখে নিজ বাড়ীতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন মিলন। মাস পার হলেও তার পরিবারের কোন খোজ খবর নিচ্ছেন মিলন মিয়া। মিলনের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করাহলে অসহায় মায়ার সাথে সংসার করতে অসম্মতি জানান মিলন এবং তার পরিবার।

মিলনের দুলাভাই সোহেল মিয়া বলেন, আমরা এই বিয়ে মানিনা, যে কোন উপায়ে ঐ মেয়েকে আমরা বিদায় করবো। এছাড়াও মিলনের পরিবার ঐ যুবতি কে বিভিন্ন সময় তালাকের কাগজে সই করাতে হুমকী দিয়েছে বলেও জানায় মায়া আক্তার।

এক সাক্ষাতকারে মায়া বলেন, আমি অনেক কিছুর পরে মিলনের প্রলোভনে পরে বিশ্বাস করে মিলন কে বিয়ে করেছিলাম। ও আমাকে এভাবে ফেলে রেখে চলে যাবে বা আমাকে এভাবে ঠকাবে আমি ভাবতে পারিনি। আমার কোন শক্ত অভিভাবক না থাকায় আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। সেই সাথে আমি আমার স্ত্রীর অধিকার নিয়ে অনেক চিন্তায় আছি।

এই ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা বল্লে মায়া বলেন আমি মিলনের সাথে সংসার করতে চাই। সে এবং তার পরিবার কে   কোন হয়রানি করা বা বিপাকে ফেলার ইচ্ছা নেই আমার। আমার সাধ্যমত আমি চেস্টা করবো মিলনের পরিবারে বৌ হয়ে যাওয়ার জন্য।

যদি তারা একান্তই না মানে তবে আমি আইনের আশ্র‍য় নিবো। আমার এই সংবাদ টি প্রকাশ হলে হয়তো মিলনের পরিবার আমাকে বুঝবে। তাই আমি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে আমার কথা গুলো সবাইকে জানালাম। যাতে করে ভবিষ্যতে সবাই আমাকে সহযোগিতা করেন। আমি খুব অসহায় তাই সকলের নিকট সহযোগিতা কামনা করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here