৩২৪ রানের লক্ষ্য পেয়েছে উইন্ডিজ !

৩২৪ রানের লক্ষ্য পেয়েছে উইন্ডিজ !

সুপ্রভাত বগুড়া (খেলা-ধুলা): মাত্র একটি রান দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে দলকে বড় লিড এনে দিয়েছিলেন উইয়ান মুল্ডার। প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের এমন নৈপুণ্যের পরও স্বস্তিতে নেই দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্যারিবীয় বোলিং তোপের মুখে পড়ে তারাও গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৭৪ রানে। যাতে ৩২৪ রানের লক্ষ্য পেয়েছে উইন্ডিজ।

সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেটের ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ক্যারিবীয়দের মাত্র ১৪৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১৪৯ রানের বড় লিড নিয়ে বেশ স্বস্তিতেই ছিল সফরকারীরা।

Pop Ads

তবে সেই স্বস্তিটা স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। যে ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি সফরকারীরা। ক্যারীবিয় বোলিং তাণ্ডবে মাত্র ৭৪ রানেই হারিয়ে ফেলে ৭টি উইকেট। যাতে মনে হচ্ছিলো একশ রানের আশেপাশেই হয়তো গুটিয়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

তবে প্রতিশ্রুতিশীল রাবাদাকে সঙ্গে নিয়ে সেটা হতে দেননি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রাশি ভ্যান ডার ডুসেন। দুজনে মিলে অষ্টম উইকেটে যোগ করেন অতি মূল্যবান ৭০টি রান। যাতে দলীয় স্কোর দেড়শ ছুঁয়ে ফেলে ডিন এলগারের দল। দলীয় ১৪৩ রানে রাবাদা ফিরলে ফিকে হয়ে যায় প্রোটিয়াদের বড় লিডের আশা। অন্যদিকে যোগ্য সঙ্গীর অভাবে আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ডুসেনকে।

শেষ পর্যন্ত ১৪২টি বল মোকাবেলা করে পাঁচটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ডুসেন। সমান সংখ্যক বাউন্ডারিতে ৪৮ বলে ৪০ করেন তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেয়া রাবাদা। বাকিদের মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন কেবল ডিন এলগার (১০) ও কিগান পিটারসেন (১৮)। যাতে ১৭৪ রান সংগ্রহ করেই গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। যাতে ৩২৩ রানের লিড পায় সফরকারীরা।

ক্যারীবিয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালানো কেমার রোচ নেন ৪টি উইকেট। আর প্রথম ইনিংসে মতো এ ইনিংসেও ৩টি উইকেট নেন কাইল মেয়ার্স।

জবাব দিতে নেমে ৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৫ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করে উইন্ডিজ। কিয়েরন পাওয়েল ৯ রানে এবং ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ৫ রানে অপরাজিত থাকেন। এই টেস্ট জিততে তাদের দরকার আরও ৩০৯ রান। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ১০টি উইকেট।