ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

ইরানের ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। বাইডেন প্রশাসনের নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে, ইরানের পারমানবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা রোধে কাজ চালানোর অনুমতি পাবে রাশিয়া, চীন ও ইউরোপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

২০১৯ ও ২০২০ সালে এই মওকুফ প্রত্যাহার করেছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরমাণু চুক্তি থেকে তার বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তে নতুন করে উত্তেজনা বাড়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর আবারো শুরু হয় আলোচনা। তবে তেহরানের দাবি, নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাবে ইরান। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি বাঁচাতে এই পদক্ষেপ বলে মত বিশ্লেষকদের।

Pop Ads

এর আগে পরমাণু চুক্তির সঙ্গে সংগতি রেখে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এর পাশাপাশি ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার প্রতিশ্রুতিতে ফিরে যেতে বলেছে।

এর আগে পাঁচ মাস বিরতির পর গত ২৯ নভেম্বর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি বহালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানি আলোচনা শুরু করে। টানা পাঁচদিন আলোচনার পর কোনো সমাধান ছাড়াই স্থগিত হয় সপ্তম দফার এই আলোচনা।

আলোচনায় অগ্রগতির মধ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ইরানের খসড়া প্রস্তাবনা পেশ উল্লেখযোগ্য। ৯ ডিসেম্বর থেকে অষ্টম দফায় নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ইরানের সাথে বিশ্বশক্তির পরমাণু সমঝোতায় শুরু হওয়া আলোচনা ছয় দফা বৈঠকের পর জুনে ইরানে নির্বাচনের কারণে স্থগিত করা হয়।

পরমাণু চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় পরোক্ষভাবে অংশ নিচ্ছে। ১৯৭০ এর দশকে রাজতান্ত্রিক শাসনে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় প্রথম পরমাণু প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর এই প্রকল্প থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে দাঁড়ালেও ইরান প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রাখে।