উখিয়া টেকনাফের নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুলের ৩য় তম কারামুক্তি দিবস,প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রত্যাশা

উখিয়া টেকনাফের নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুলের ৩য় তম কারামুক্তি দিবস,প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রত্যাশা

সুপ্রভাত ডেস্ক: ২০২০ সালের ২৭ আগষ্ট দেশি বিদেশি অগনিত পাঠকের দোয়া ভালবাসা এবং বর্তমান আওয়ামী সরকারের বদন্যতায় কক্সবাজারের নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের ৩য় কারামুক্ত দিবস।২০২০ সালের এই দিনে তিনি কারাগারের বন্দি জীবন থেকে মুক্ত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। এসময় মুক্ত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের পরিবার এবং ভক্ত শুভাকাঙ্কিদের ভিড়ে কক্সবাজার জেলা কারা ফটকে এক হ্নদয় বিদারক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। স্ত্রী-সন্তান মা বোন ও স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন অঝোর নয়নে।

মুক্তির পরপরই গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন,টেকনাফ কক্সবাজারে মাদক নির্মূলের নামে নিজেদের বেপরোয়া মাদক সেবন ব্যাবসা এবং বিচার বহির্ভূত মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে লেখালেখির কারনে সেই সময়ের দুরদ্বান্ত খুনি ওসি প্রদীপ ও তার লালিত মাদক এবং সরকারি দলের নাম ব্যাবহার করে উখিয়া- টেকনাফে ঘাপটি মেরে থাকা এমপি বদির মাফিয়া চক্র তাকে কারাগারের ভিতর ও বাহিরে বিভিন্নভাবে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তুু সৃষ্টিকর্তার রহমতে উপরে আল্লাহ্ নিচে মানবতার মা সাংবাদিক বান্ধব বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বদন্যতায় তিনি মুক্তি পেয়েছেন।

Pop Ads

ফলে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান সেদিন বলেছিলেন, উখিয়া টেকনাফ তথা মানুষের কল্যানে জীবনের শেষ রক্তবিন্দু তিনি উৎসর্গ করে দিতে চান। যারা তার কারা মুক্তিসহ বিভিন্নভাবে গোপনে প্রকাশ্যে সহায়তা করেছেন বেঁচে থেকেই তিনি উত্তম প্রতিদান দিয়ে যেতে চান। উল্লেখ্য, কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক কক্সবাজারবানী পত্রিকার অন্যায়ের প্রতিবাদী সাহসী এবং জাতির জনকের পাগল জনপ্রিয় সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের বিরুদ্ধে ওসি প্রদীপ ও তার মাদক সিন্ডিকেট ৪ হাজার পিস ইয়াবা, দুটি দেশিয় তৈরী বন্দুক,৫ রাউন্ড কার্তুজ ,দেশি-বিদেশি মদ এবং চাঁদাবাজি সহ ৬ টি মিথ্যা মামলা দিয়ে দিয়েছিলেন।

ফরিদুল মোস্তফা খানকে আটকের পর অস্বীকার করে তার লাশ গুম,বন্দুক যুদ্ধের পরিকল্পনা সহ সরকারের উপরমহল এবং দেশি-বিদেশি ভক্ত শুভাকাঙ্ক্ষীদের তীব্র প্রতিবাদের কারনে বিপথগামী প্রদীপ সিন্ডিকেট তাকে স্বরণকালের ভয়াভহ পাষবিক নির্যাতন,মুখে পশ্রাব,হাত পা গুড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি মরিচের গুড়ো দিয়ে দু চোখের বাল্ব নষ্ট করতে ছেয়েছিল।

ফরিদুল মোস্তফা খান বলেন,উপরে আল্লাহ নিচে শেখ হাসিনা ও তার সরকার সুযোগ দিলে তিনি নৌকা প্রতিকে উখিয়া টেকনাফের এমপি নির্বাচন বা মানব সেবায় জীবনের শেষ রক্তবিন্দু উৎসর্গ করে সেইখানকার সাধারণ মানুষের খেদমত এবং দেশের গণমাধ্যমের কল্যানে কাজ করে যেতে চান। কোন প্রকার টাকা পয়সা ছাড়া নাফ-সীমান্তে জনপ্রিয় এই সাংবাদিককে দলীয় মনোনয়ন না দিলে তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন বা স্বপরিবারে মানবিক আশ্রয়ে বিদেশ গিয়ে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতা করে সৃষ্টির কল্যানে কাজ করবেন বলে পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক আইডিতে।