কপিরাইট আইনের প্রয়োগ ও আইনি ব্যাখ্যা নিয়ে বিতর্ক

কপিরাইট আইনের প্রয়োগ ও আইনি ব্যাখ্যা নিয়ে বিতর্ক।

সুপ্রভাত বগুড়া ডেস্ক: কপিরাইট আইনের প্রয়োগ এবং কপিরাইট অফিসের কার্যক্রমে, গোলমেলে অবস্থার খবর মিলেছে। এই আইনের অধিনে কে বা কারা, কোন ধরনের কাজের কপিরাইট স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সমিতির নিবন্ধন পেতে পারেন, তা নিয়ে রয়েছে আইনি ব্যাখ্যার বিতর্ক। খোদ সরকারের কপিরাইট অফিস ও তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মধ্যেই, বিপরিতধর্মি বক্তব্য ও ব্যাখ্যা রয়েছে।

সমিতির নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য ও নথি নিয়েও রয়েছে রহস্যজনক পাল্টাপাল্টি বক্তব্য। চলচ্চিত্র, নাটক ও ভিডিও চিত্র সম্পর্কিত একটি কপিরাইট সংরক্ষণ সমিতির গঠন ও কার্যক্রম ব্যাপক ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। সৃজনশীল কাজের স্বত্তাধিকার ও অর্থের আয় নিশ্চিতের জন্য কপিরাইট আইনটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এসম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা ও সচেতনতার অভাব স্পষ্ট।

Pop Ads

এই আইনের অধিনে কপিরাইট অফিস বিভিন্ন ধরনের কাজের সমিতির নিবন্ধন দেয়। কারো বই থাকলে এটার মালিক তিনিই হবেন, যা কেউ বাজারজাত করতে পারবেননা। এখন পর্যন্ত এধরণের মাত্র দুটি সমিতি আছে। একটি সংগীতের। আরেকটি চলচ্চিত্র, নাটক ও ভিডিও চিত্র সম্পর্কিত, যা ব্যাপক ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। এধরণের সমিতির নিবন্ধন পেতে আইনি যোগ্যতা লাগে।

তবে, চলচ্চিত্র, নাটক ও ভিডিও চিত্রের কালেক্টিং ম্যানেজমেন্ট অরগানাইজেশন সংক্ষেপে সিএমও হিসেবে পরিচিত সমিতির নিবন্ধন যিনি পেয়েছেন, তার যোগ্যতা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। লাইসেন্সিং অ্যান্ড কালেক্টিং সোসাইটি ফর সিনেমাটোগ্রাফ নামে নিবন্ধিত সংগঠনটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওলোরা আফ্রিন। তার সমিতির লাইসেন্স এবং অন্য সদস্যদের তথ্যের ব্যাপারে রাগঢাক করেন।

তার লাইসেন্স দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাননি। এই সংস্থার সদস্য কারা জানতে চাইলেও তাও জানাননি, ওলোরা আফ্রিন বলেন, টাকা তিনি দেন তাই সংস্থাও তিনিই চালান, বাকি সদস্যরা কেউ তৎপর নয়। ওলোরা আফ্রিনের মত ব্যক্তিরা সিনেমাটোগ্রাফের কপিরাইট বিষয়ক সংস্থার নিবন্ধন পেতে পারেন কিনা, তা নিয়ে কপিরাইট রেজিষ্টার ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য পরস্পর বিরোধী।

ওলোরা সিনেমাটোগ্রাফ বিষয়ক কপিরাইটের নিবন্ধিত সমিতির কোন কাগজপত্র যেমন দেখাননি তেমনি কপিরাইট অফিসও পারেনি দেখাতে। অফিসটি নথি মন্ত্রণালয়ে আছে বললেও তার সত্যতাও মেলেনি। এই প্রতিবেদনের কাজ করার সময়, চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, ওলোরা আফ্রিনের নিবন্ধিত কপিরাইট সংগঠন নিয়ে বিস্তর অভিযোগ করলেও, এরই মধ্যে একটি আপোশ রফা হয়েছে দু-পক্ষের মধ্যে।