বদলগাঁছীতে একটি ড্রেনের অভাবে হাজার হাজার বিঘা জমি অনাবাদি

সুপ্রভাত বগুড়া (বুলবুুল আহম্মেদ ( বুলুু) নওগাঁ বদলগাঁছী প্রতিনিধি): নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় আধা কিলোমিটারের একটি ড্রেনের অভাবে জলাবদ্ধতায় হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। ওই মাঠের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা হলে জমিগুলোতে তিনটি ফসল আবাদ করা সম্ভব হবে বলে জানায় স্থানীয় কৃষকরা। এতে করে এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে বলে মনে করেন তারা।
জানা গেছে, বদলগাছী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডাঙ্গীর মাঠের পানি নিষ্কাষণের জন্য একটি ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল। চাংলা পাকা সড়কের ছোট ব্রীজ দিয়ে মাঠের পানি ওই ড্রেন দিয়ে বের হয়ে মাঠের পশ্চিম পাশ দিয়ে শেরপুর ও গাবনা খারি দিয়ে পানি নিস্কাশন হত। এতে ওই মাঠের চার পাশের গ্রাম, তেজাপাড়া ,কোমারপুর, চাংলা, কাদিবাড়ী , জিধিরপুরসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার বিঘা জমির ফসল চাষের কোন সমস্যা হতো না।
ফলে মাঠে বোরো, আমন ও পাটের আবাদ করা হতো। কিন্তু ২০ থেকে ২৫ বছর আগে চাংলা গ্রামের শেষ প্রান্তে ওই ড্রেনের মুখ বন্ধ করে মাটি ভরাট করে দিয়ে সেখানে একটি বাড়ি নির্মাণ করা হয়। নওগাঁ-৩ (বদলগাছী-মহাদেবপুর) আসনের সাবেক এমপি ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী ডাঙ্গীর মাঠের পানি নিস্কাশনের জন্য তেজাপাড়া স্কুলের উত্তর পাশদিয়ে ছোট যমুনা নদীতে অস্থায়ী ভাবে একটি ড্রেন কেটেছিল বর্তমানে ড্রেনটি বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে পানি বের হয়ে যাওয়ার বিকল্প কোন পথ না থাকায় মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে মাঠে বোরো, আমন ও পাটের ফসল ডুবে যায়। এভাবে কৃষকরা প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারনে আমন ধানের আবাদ করা ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে আবার পাটের আবাদ করাও ছেড়ে দেয় কৃষকরা।
সর্বশেষ শুধু একটি মাত্র ফসল বোরো আবাদ করা হয়। কিন্তু বৃষ্টি হলে বোরো ধান হাঁটু পানির মধ্যে কাটতে হয়। যার কারণে তিন ফসলি জমি এখন এক ফসলে পরিনত হয়েছে। এ মাঠের আধা কিলোমিটার ড্রেন খনন করে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করা হলে আবারও জমিতে তিন ফসলের আবাদ করা সম্ভব হবে। চাংলা গ্রামের কৃষক পলাশ হোসেন বলেন, গত ২০ থেকে ২৫ বছর আগে বোরো, আমন ও পাটের ফসল হতো। কিন্তু বর্তমানে জলাবদ্ধতা কারনে শুধু বোরো ফসল করা হয়। ডুবে যাওয়ার কারণে অন্য কোন ফসল করা সম্ভব হয় না। একই গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ড্রেন খননের সময় যদি আমাদের দল বদ্ধ ভাবে কাজ করতে হয় সেক্ষেত্রে আমরা সরকারকে সহযোগিতা করব।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, ডাঙ্গীর মাঠের পানি জরুরী ভাবে নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হলে হাজার হাজার বিঘা জমিতে ২টি ফসল করা সম্ভব। বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাঃ আবু তাহির বলেন, উপজেলা আধাইপুর ইউপির হলফলা বিলের পানি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল বিলের চার পাশের লোকজন নিয়ে পানি নিষ্কাষনে ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠটিতে এখন সারা বছর ফসল ফলানো সম্ভব হবে। আমি ডাঙ্গীর মাঠ পরিদর্শণ করে স্থানীয় জনসাধার কে সাথে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা নিবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here