করোনাকালে কুরবানির ঈদ

করোনাকালে কুরবানির ঈদ। - ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 

ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 

সুপ্রভাত বগুড়া (স্বাস্খ্য-কণিকা): করেনাকালে ছেলে-বুড়ো, ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই কুরবানি ঈদের খুশিতে মাতোয়ারা। কুরবানির ঈদ এলে সুস্বাদু ও ভারি খাবার খাওয়ার পরিমাণ যেমন বাড়ে তেমনি বিশেষত এই ঈদেই অনেক বেশি স্বাস্থ্যসচেতন থাকতে হয়।প্রতিবারই এমন সব জমজমাট পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করেই ধর্মীয় উৎসব থেকে জাতীয় দিবস এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেও সম্প্রসারিত করে গণমানুষের আনন্দ আয়োজন উদযাপন করা হয়। তবে ফেলে আসা দিনগুলো আর আজকের পরিবেশ পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা।
সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতায় এসেছে এক ধরনের বিপন্ন অবস্থা যা কোন উৎসব আয়োজনকে আমলে নিতেও প্রাচীর সম ব্যবধান তৈরি করেছে। করোনা মহামারীর মহাবিপর্যয়ে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব এক দুঃসহ সময় পার করছে। মানুষের মিলনযজ্ঞে সমাজ সভ্যতার সংহতি আড়ম্বর আর আনন্দযোগের নিয়ামক শক্তিও আজ বিপর্যস্ত, দিশেহারা। কোভিড-১৯ নামে পরিচিত এই বহুল সংক্রমণটি গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই তার অশুভ বার্তা জানান দিলে সর্বপ্রথম বৃহত্তর এশিয়ার চীনেই তার কালো ছায়া পড়ে। হুবেই প্রদেশের উহান শহরে উদ্ভূত এই ভাইরাসটি তার সংক্রমণের ব্যাপকতায় আক্রান্ত অঞ্চলটি ছাড়া চীনের অন্য কোথাও তার কোন নিশানা পাওয়া যায়নি। সে সময় চীন অত্যন্ত দক্ষতা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সংক্রমণটি নিয়ন্ত্রণে আনতে উহানকে অন্যান্য এলাকা থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
অবরুদ্ধতার কঠিন জালে উহান আটকে পড়লে ভাইরাসটিও সেখানেই তার বহুল সংক্রমণটি ছড়িয়ে দেয়। ধারণা করা হয়েছিল উহানের কোন এক গবেষণাগার থেকে এই ভাইরাসটির উৎপত্তি। তেমন বিতর্কের এখন অবধি কোন সুরাহা হয়নি। আবার এমন অভিমতও উঠে আসে মানুষের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে ভাইরাসটির কোন যোগাযোগ থাকতে পারে। যেমন- বনরুই, বাদুড় কিংবা অন্য কোন বন্যপ্রাণী থেকে ভাইরাসটি আসতে পারে। তেমন বিবেচনায় উৎপত্তিটি প্রাকৃতিক এবং বহুল সংক্রমণও। তবে করোনা এশিয়া কিংবা দক্ষিণ এশিয়ায় তার কালো ছায়া না ফেলে লাফ দিয়ে চলে যায় আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। ভয়ানকভাবে আক্রান্ত কোন দেশই এখন পর্যন্ত সেভাবে রোগটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। কমার পরও নতুন ভাবে সংক্রমণের আশঙ্কা সারা বিশ্বকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ফেলে দিয়েছে।
এখনও প্রতিদিন দুই লাখের বেশি বিশ্ববাসী এই রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও কম নয়,বাংলাদেশ এই নতুন সংক্রমণটিকে প্রথম উপলব্ধি করে মার্চ মাস থেকে। যখন বহুল সংক্রমিত দেশ ইতালি থেকে প্রবাসী বাঙালীরা দেশে ফিরতে শুরু করে। চীনের উহান থেকে যখন বাঙালীরা দেশে ফিরল তাদের কোয়ারেন্টাইনে রেখে স্বাস্থ্যবিধির আওতায় আনা হয়। সে অবধি চীন থেকে স্বদেশে আসা বাঙালীরা অত্যন্ত সচেতনভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আমলে নিলে সংক্রমণটি বাংলাদেশকে আক্রান্ত করতে পারেনি। বিপন্নতার শিকার শুরু হলো যখন ইতালি থেকে ভয়ে-আতঙ্কে প্রবাসীরা দেশে ফিরে কোন স্বাস্থ্যবিধিকে তোয়াক্কা না করার চরম গাফিলতি দেখাল। স্বাস্থ্যবিধি তো মানলই না বরং দেশের বিভিন্ন জেলা- উপজেলায় নিজেদের বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়ল। আমরা যদি একটু সচেতন হয়ে সে সময় স্বাস্থ্যবিধির সমস্ত নিয়মকানুনকে বিবেচনায় রাখতে পারতাম তাহলে আমাদের বর্তমান দুঃসময়কে মোকাবেলা করতে হতো না।
শুধু তাই নয় স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিবিধ পর্যায়ে এখন অবধি অবহেলা এবং উপেক্ষার চিত্রই সব সময় উঠে আসছে। ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং ২৬ মার্চ শুরু হয়ে যায় সাধারণ ছুটির ঘোষণা সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু মানুষের মধ্যে তেমন সংক্রমণকে খুব বেশি নাড়া দিতেও পারেনি। মানুষের অভিজ্ঞতায় তেমন অবরুদ্ধতার কঠিন বেড়াজাল সে অবধি এক প্রকার অনুপস্থিতই বলা যায়। ফলে লকডাউনের গুরুত্ব এবং প্রাসঙ্গিতাকে সাধারণ মানুষ আমলে নিতেও ব্যর্থ হয়। সামাজিক দূরত্বকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি এখন পর্যন্ত জনগণকে মানানো যাচ্ছে না।
ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ, স্বাধীনতা দিবস এবং বৈশাখী উৎসবকেও সীমিত আকারে ঘরে বসেই তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে উপভোগ করতে হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসে যায় পবিত্র রমজান মাস। জামায়াতে তারাবি পড়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আসে। সেটা শুধু বাংলাদেশেই নয় মুসলিম বিশ্বেও। ঈদ-উল-ফিতরও তার ধর্মীয় মাহাত্ম্য আর আবেদন নিয়ে হাজির হলে সেখানেও নির্দেশনা আসে ঘরে বসেই ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। সরকারী সব নির্দেশনা সাধারণ মানুষ মেনেছে এমনটা নয়। এর ব্যতিক্রমও পরিলক্ষিত হয়। তবে ঈদের ছুটিতে গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয় যাতে মানুষ নিজ জায়গা ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে না পারে।
আইনশৃঙ্খলা ও সামরিক বাহিনী এ ব্যাপারে সতর্ক অবস্থায় নজরদারি করলেও সাধারণ মানুষকে দমিয়ে রাখা এক প্রকার অসম্ভবই ছিল। যার যাওয়ার তার যে কোন উপায়ে গ্রামের বাড়িতে গমনের দৃশ্যই ছিল নজরকাড়া। সারা দেশকে সে দাম চুকাতে হয়েছে অত্যন্ত ভয়ানকভাবে। দেশের প্রত্যেকটি জেলা-উপজেলা এই বহুল সংক্রমণ রোগটি থেকে রক্ষা পায়নি। সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া এই করোনা মহামারী এখনো তার মারাত্মক সংক্রমণকে ক্রমাগত বিস্তারই করে যাচ্ছে। সেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা কমেনি। তবে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা স্বস্তিদায়ক। অন্যদিকে সুস্থতার হারও উর্ধগতি। এসব ইতিবাচক বিষয় কোন আশার আলো দেখাতে পারছে না। কারণ সবার আগে বহুল সংক্রমণকে কমতির দিকে নিয়ে যাওয়াই এই মুহূর্তে করণীয়, যা এখন অবধি অসম্ভবের পর্যায়ে। এরই মধ্যে কোরবানির ঈদ তার আগমনী বার্তাও জানান দিচ্ছে। এবারও সরকার ৯ দিন গণপরিবহন বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে।
পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থল ত্যাগের ওপরও নিষেধাজ্ঞা এসেছে। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় না। মানুষ এবারও স্বাস্থ্যবিধিকে তোয়াক্কা করে দেশের বাড়িতে যাবে না। এখানে শুধু বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় যাতায়াতই নয় আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পশুর হাট বসার এক সামাজিক নিয়ম যা কোনভাবেই স্বাস্থ্যবিধির আওতায় পড়ে না। তবে এ ব্যাপারে খামারিদের বাণিজ্যিক বিষয়টিও ভাবার অবকাশ রাখে। সারা বছর পশুপালন প্রক্রিয়ায় গরু, ছাগল, ভেড়া ব্যবসায়ীরা লালন পালন করতে থাকে কোরবানির বড় বাজারকে উপলক্ষ করেই। পশুর হাট সীমিত আকারে বসার নির্দেশ দিয়েছে সরকার স্বাস্থ্যবিধি আর সামাজিক দূরত্বকে বিবেচনায় রেখে। কিন্তু এমন বিবেচনাবোধ আগেও পরিলক্ষিত হয়নি।
এই পবিত্র দিনে, মানুষ ঈদের জামাতে অংশ নিতে মসজিদগুলোতে বা খোলা জায়গায় জড়ো হয়।দাতব্য কাজ করে, ভোজের আয়োজন করে এবং একে অপরের বাড়িতে বেড়ানোর মাধ্যমে এই দিনটিকে উদযাপন করা হয়। কেন এই বছর ঈদ উদযাপন আলাদা হবেএই মুহূর্তে, বিশ্ব একটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং এবং কঠিন সময় পার করছে। করোনাভাইরাস মহামারী মানব জাতিকে কেবল স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখোমুখি করেছে তা নয়, বহু অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব এবং লকডাউন নিয়মাবলী অনুসরণ করা এই হুমকি মোকাবেলার একমাত্র সম্ভাব্য সমাধান বলে মনে হয়। এই পরিস্থিতিতে, বিপুল সংখ্যক লোক (বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার) সহ ঈদ বা যেকোনো ধরণের উদযাপন আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখোমুখি করবে, তাই না?ঈদ উদযাপন জন্য গাইডলাইনপরিস্থিতির গুরুতরতার কথা মাথায় রেখে অনেক ধর্মীয় সংস্থা এবং সম্প্রদায়ের নেতারা জনসমাগম এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
সেক্ষেত্রে, আপনি ভাবছেন যে কীভাবে আপনি লকডাউনের সময় আপনার পরিবারের সাথে নিরাপদে ঈদ উদযাপন করতে পারেন, জেনে নিন-ভার্চুয়াল পার্টির আয়োজন করুননানারকম সুস্বাদু খাবার ঈদ উদযাপনের একটি বড় অংশ। ভোজের জন্য প্রস্তুতি প্রায় একদিন আগে থেকেই শুরু হয় এবং পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুবান্ধবদের জন্য বিভিন্ন ধরণের খাবার থেকে রান্না করা হয়। ঈদের সন্ধ্যায় একে অপরের বাড়ি বেড়াতে যাওয়া এবং পার্টির আয়োজন করে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মানুষের সামাজিক পরিদর্শন এড়ানো উচিত এবং পরিবর্তে ভার্চুয়াল পার্টির আয়োজন করা যেতে পারে। তারা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারে এবং একই সময়ে তাদের বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের মতো নিজের জায়গায় থেকে উৎসবে সামিল হতে পারে। বাড়ির সাজসজ্জা উৎসব পালনের অন্যতম অঙ্গ হলো বাড়ির সাজসজ্জা। আপনি আপনার বাড়িকে থিম অনুসারে সাজাতে পারেন।
এটি আপনাকে কেবল ব্যস্তই রাখবে না, সবাইকে উৎসবের প্রতি আগ্রহী করবে এবং আশা করি তারা তাদের বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনের অভাব কিছুটা কম বোধ করবে।অনলাইনে দান করুন গরিব ও অভাবী লোকদের সঙ্গে বাইরে গিয়ে দেখা করার পরিবর্তে অনলাইন দাতব্য বা অনুদান বেছে নেয়া উচিত। এই দিনগুলোতে প্রচুর লোকের সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে এবং অনেক সংস্থা (বেসরকারী এবং সরকারি উভয়ই) এই ধরনের লোকদের ত্রাণ তহবিল দিচ্ছে এবং যখনই প্রয়োজন তাদের সহায়তা করছে। আপনি এই সংস্থাগুলোর মাধ্যমে অনলাইনে অনুদান করতে পারেন।সুন্দর পোশাক পরুনযেহেতু বাড়িতেই থাকছেন তাই নতুন পোশাক কিংবা সাজগোজের দিকে হয়তো মনোযোগ থাকবে না।
কিন্তু কোনো উৎসবই সুন্দর পোশাক ও সাজসজ্জা ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। নতুন পোশাক নেই তো কী হয়েছে, আগের বছরের পোশাক থেকেই একটি সুন্দর পোশাক বাছাই করুন। কাপড়ে সুগন্ধি আতর ছড়িয়ে দিন। এটি উৎসবের আমেজ বাড়িয়ে তুলবে।যাই হোক না কেন, সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করুননিজেকে লোকেদের থেকে দূরে রাখার সর্বোত্তম চেষ্টার পরেও যদি কেউ আপনাকে বেড়াতে চলে আসে তবে অতিথিকে স্বাগত জানাতে গিয়ে কমপক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করা উচিত। আলিঙ্গন বা হ্যান্ডশেক এড়িয়ে চলুন, একটি মাস্ক পরুন এবং আলাপচারিতার সময় কমপক্ষে এক মিটার দূরত্বে থাকুন। স্যানিটাইজ করতে ভুলবেন না।
কোরবানির ঈদও সে মাত্রায় আমাদের যথাসম্ভব সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে সর্বাদিক গুরুত্ব দিতে হবে। যদি সম্ভব হয় এবার দেশের বাড়ি যাওয়ার ব্যাপারটাও ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে
 কুরবানি ঈদের কিছু পরামর্শঃ-
* মাংস খাওয়ার লোভে পড়ে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে নিজের ওজন বাড়িয়ে বসবেন না। স্বাস্থ্যই সুখের মূল- কথাটা ভুললে চলবে না।
* গরু, মহিষ, খাসি ও ভেড়ার মাংসে থাকে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল। বেশি মাংস খেলে দীর্ঘমেয়াদে আপনার স্বাস্থ্য বিশেষত হার্টের ক্ষতি হতে পারে।
* কম মাংস খাওয়ার জন্য বেশি বেশি মাংস গরিব মিসকিনকে দিয়ে দিন। মনে রাখবেন দৈনিক ৯০ গ্রামের উপর মাংস খেলে বেড়ে যাবে ক্যানসারসহ হার্টের রোগ।
* মাংসের চর্বিযুক্ত অংশ বাদ দেয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়া মগজ, চর্বি এবং ভুড়ি না খাওয়াই ভালো।
* যদি মাংস খেতেই হয়, তাহলে সেদ্ধ ও কয়লায় পুড়িয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে কাবাব খাওয়া সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। বেশি তেল দিয়ে অতিরিক্ত ভাজা মাংস খাওয়া যাবে না।
* কখন খাবেন এ বিষয়ে ডায়েটিশিয়ান ও ডাক্তারদের উপদেশ মানুন। ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাওয়া শেষ করতে হবে। রাতের খাওয়া শেষে আধা ঘণ্টা হেঁটে আসুন।
* বেশি পরিমাণ মাংস যেহেতু খেতেই হবে তাই খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণ মাংস রাখুন। একেবারে বেশি বেশি না খেয়ে একটু পরপর অল্প অল্প করে খান। মাংস খাওয়ার ফলে যেহেতু দৈনিক ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যায় তাই ডেজার্ট এবং মিষ্টি খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন।* ঈদের এই কয়েকদিনে অনেকগুলো দাওয়াত পাবেন। জানেন যে এড়াতে পারবেন না, মাংস খেতেই হবে। আর মাংস খেলে হবে হজমের গণ্ডগোল। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় চিনি ছাড়া লেবুর রস এবং গ্রিন টি রাখতে পারেন।
ঈদ নিরাপদ হোক।
লেখক
ডাঃ মুহাম্মাদ মাহতাব হোসেন মাজেদ
সম্পাদক ও প্রকাশক,দৈনিক স্বাস্থ্য  তথ্য
স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটি
কো-চেয়ারম্যান হোমিওবিজ্ঞান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
ইমেইলঃ[email protected]
মোবাইল: ০১৮২২-৮৬৯৩৮৯

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here