করোনায় দেশের শিল্প ও সেবা খাতের চরম বিপর্যয়, অবস্থা পরিবর্তনে ভরসা কৃষি খাত

সুপ্রভাত বগুড়া (ব্যবসা-বাণিজ্য): করোনায় দেশের শিল্প ও সেবা খাতের চরম বিপর্যস্ত অবস্থায় ভরসা কৃষি খাত। বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন দিচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা। একইসাথে ইন্দোনেশিয়াকে টপকে বিশ্বে তৃতীয় চাল উৎপাদকের মর্যাদাও পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অথচ এসব সাফল্যের দাবিদার কৃষকরা পান না ফসলের নায্যমূল্য।

ভোগান্তি রয়েছে কৃষি ঋণ বা প্রণোদনা পেতে। অর্থছাড়ের দীর্ঘসূত্রতায় গতি পাচ্ছে না কৃষির প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কার্যক্রম। এসব সমস্যা সমাধানে বাজেটে অর্থবরাদ্দের পাশাপাশি কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি খাত সংশ্লিষ্টদের। প্রাণঘাতি করোনায় বিশ্ব এখন খাদ্য সংকটের আশঙ্কায়, সেই সময় বোরো উৎপাদন নির্ভার রাখছে বাংলাদেশকে।

Pop Ads

শুধু তাই নয়; মার্কিন কৃষি বিভাগ বলছে, এবছর ৩ কোটি ৬০ লাখ টন উৎপাদন নিয়ে ইন্দোনেশিয়াকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় চাল উৎপাদক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। করোনায় কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ ও প্রণোদনা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

বে ঋণ পেতে কৃষককে জমির দলিল এবং ভূমিহীন বর্গাচাষিকে দেখাতে হবে চুক্তিপত্র। যা বেশিরভাগ বর্গাচাষিরই নেই। গুদাম সংকটে বোরো মৌসুমে মাত্র ২০ লাখ টন ধানচাল কিনবে সরকার। এ অবস্থায় ভর্তুকি দিয়ে কৃষককে প্রতিটি গ্রাম-পাড়া মহল্লায় শস্য সংরক্ষণাগার নির্মাণে উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ কৃষিবিদদের।

কৃষিবিদ ড. সদরুল আমিন বলেন, বর্গাচাষি এবং অন্যান্য চাষি সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞায়িত এবং নিবন্ধন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কিভাবে এই টাকা তাদের দেয়া হবে। এবার হাওর এলাকায় ধান কাটায় কৃষককে স্বস্তি দিয়েছে কম্বাইন হারভেস্টার। অথচ ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় নয় মাস কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অর্থায়ন বন্ধ ছিলো।

এসিআই মোটর লি. নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস বলেন, যেসব যন্ত্র বাংলাদেশে ব্যবহার হয়, তার দাম প্রায় ৩০ লাখের মতো। অথচ ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় নয় মাস কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অর্থায়ন বন্ধ ছিলো। প্রতিনিয়ত বাড়ছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি। যা মোকাবিলায় প্রয়োজন ব্যাপক গবেষণা।

অথচ বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দের সিংহভাগ ব্যয় হয় সার তেল, বীজের ভতুর্কিতে। তবে আসছে বাজেটে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার কথা জানালেন কৃষি সচিব। কৃষি মন্ত্রণালয় সচিব মো. নাসিরউদ্দিন বলেন, যাত্রিকীকরণের ক্ষেত্রে আমাদের একটা প্রকল্প থাকবে।

যেটা ৩ হাজার দুশো কোটি টাকার একটি প্রকল্প আমরা আশা করি পাবো। বরাদ্দকৃত অর্থব্যয়ে যাতে দুর্নীতি না হয় সেদিকে কঠোর নজরদারির পরামর্শ কৃষিখাত সংশ্লিষ্টদের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here