বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ও ব্যবহৃত অ্যাপ টিকটক। অসংখ্য মানুষ দিন রাত এই অ্যাপেই সময় কাটাচ্ছে। এরইমধ্যে পাকিস্তানের বিখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া বিনোরিয়া টাউন টিকটক ব্যবহার হারাম বলে ঘোষণা দিয়েছে।
জামিয়া বিনোরিয়া তাদের ফতোয়ায় বলেছে, ‘টিকটক’ বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মকে বিপদে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের জীবনযাপনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তাই ইসলামি শরিয়া মতে, টিকটকের ব্যবহার অবৈধ ও হারাম।’
তবে এই ঘোষণার পেছনে তারা কয়েকটি কারণ দেখিয়েছেন। সেই কারণের মধ্যে রয়েছে- এই অ্যাপে ছবি এবং ভিডিও প্রদর্শন করা হয় যা ইসলামি শরিয়া অনুসারে নিষিদ্ধ।
আরও বলেছে, ‘নারীর অশ্লীল ভিডিও তৈরি ও প্রচারের জন্য টিকটকই দায়ী। এই অ্যাপ ব্যবহার করে নারী ও পুরুষ অশ্লীলভাবে নিজেদের প্রদর্শন করে। এটি সবাই দেখছে যা সমাজের জন্য ভয়াবহ দিক। এতে নৈতিক অবক্ষয় তৈরি হচ্ছে। পুরো জেনারেশন নষ্ট করছে এই অ্যাপ।’
সব কারণ বিবেচনা করে ইসলামি শরিয়া অনুসারে নিষিদ্ধ বলেও জানানো হয়েছে এই ফতোয়ায়।
মোবাইল এবং প্রযক্তির বিশ্লেষণভিত্তিক সংস্থা দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, ২০২২ সালেই প্রায় ৩.৯ কোটিবার ডাউনলোড করা হয়েছে টিকটক অ্যাপ। টিকটক নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে পাকিস্তানসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। চলতি বছরের শুরুতে লাহোর হাইকোর্টে টিকটক নিষিদ্ধ করার আবেদন করা হয়।
এর আগেও পাকিস্তানের ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা টিকটক নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। সেই দাবিতে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি ২০২১ সালে অ্যাপটিকে পাঁচ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে। এরপর টিকটক কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। কিন্তু আবার টিকটক নিয়ে নতুনভাবে সোচ্চার হতে দেখা গেছে।